শরীয়তপুরে কবর থেকে লাশ তুলে এনে সেই লাশ পাশে নিয়ে রাত্রিযাপন করেছে রাজন ফকির নামে এক কিশোর।
গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের নাগেরপারা ইউনিয়নের পশ্চিম কাচনা গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে রাজনের ঘর থেকে মৃত শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। রাজন ফকির নিহত শিশুর আত্মীয় ও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের।
জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে নাঈম মাদবর (৩) পানিতে ডুবে মারা যায়। সন্ধ্যায় পশ্চিম বড় কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু সকালে কবরের ভেতর নাঈমের লাশের পাওয়া যায়নি। কবরের মাটি দুপাশে সরানো অবস্থায় দেখতে পায় স্বজনরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর লাশটি শিশুটির বাবার ফুফাতো ভাই মোকলেস ফকিরের ঘরে পাওয়া যায়। এসময় শিশুটির পরনে ট্রাউজার ও শার্ট পরানো অবস্থায় ছিল।
পরে আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় শিশুটিকে পুনরায় ওই কবরেই দাফন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছে। অভিযুক্ত ওই কিশোর মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
নাঈমের দাদা সাঈদুল মাদবর জানান, কবর খুঁড়ে লাশ তুলে এনে জামা–কাপড় পরিয়ে একসাথে রাতে ঘুমিয়েছে রাজন ফকির। শিশুটি কবরে একা একা কীভাবে থাকবে, তাই সে কবর থেকে তুলে নিয়ে এসেছে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদে রাজন লাশ তুলে আনার কথা স্বীকার করে এসব জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ