অদৃশ্য শক্তির বল প্রয়োগ করে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে দিনে ও রাতে চলছে জমজমাটভাবে অবৈধ মাটি ব্যবসা। নিরব ভূমিকায় রয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের নারিকেলী গ্রামে জোসনা নামের এক নারীর ফসলি জমি কেটে চলছে পুকুর খননের কাজ। গোপিনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া গ্রামে ও রায়কালী ইউনিয়নের চিয়ারীগ্রামে চলছে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বাণিজ্য। থেমে নেই নদী সংস্কারে মাটি বিক্রয়ও। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্নস্থানে দিনে ও রাতে চলছে এসকল অবৈধ মাটি ব্যবসা।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, অনুমোদনহীনভাবে নিজ ইচ্ছেমতোই কোনকিছুর তোয়াক্কা না করেই চলছে এসকল কাজ। আবার অনেক জায়গায় স্থানীয়নেতাদের ছত্রছায়ায় চলছে এসকল কাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসকল মাটি ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর চলাচলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চলাচলের রাস্তাঘাট। অনেক ক্ষেত্রে দখল হচ্ছে সরকারি খাস জায়গাও। অনান্য বছরে অবৈধ মাটি ব্যবসার বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও এবছর প্রশাসনের নিশ্চুপ থাকা নিয়ে জনসাধারণের মনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।
রায়কালী ইউনিয়নের মাটি ব্যবসায়ী এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক সকলকে ম্যানেজ করেই কাজ করছি। তাই এইসকল কাজ পরিচালনা করতে কোন সমস্যা হয়না। যেই আসুক টাকা দিয়ে দিব।’
রাস্তায় কথা হয় মাজেদ নামের এক বাইক চালকের সাথে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মাটি পড়ে থাকায় ঘন কুয়াশায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে আছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এসকল বিষয়ে কথা বলার জন্য আক্কেলপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেনে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘কিছুদিন আমি ট্রেনিং-এর কারণে বাহিরে ছিলাম। নদীর মাটি বিক্রয়ের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়াও ফসলি জমির মাটি বিক্রয় করা একটি অপরাধ। এ বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ