ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতকালীন আগাম পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, দাম পেয়ে খুশি কৃষক

প্রকাশনার সময়: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:১৪

আগাম পেঁয়াজের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার কৃষকরা। আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

জানা যায়, দেশের বেশির ভাগ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে আসতে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। বিদেশ থেকে আমদানির পরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকায় কৃষি বিভাগ দেশে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে। পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে লাখ টাকা আয় করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য কৃষকরাও ঝঁকছেন নতুন গ্রীষ্মকালীন এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে।

উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়ন ভাবনচুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ৩৩ শতক জমিতে আগাম গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছি। পেঁয়াজ চাষ করতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২৫-৩০ হাজার টাকা। প্রায় তিন মাসের মধ্যে বিঘায় ৭০-৮০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩৫-৪০ টাকা।

কৃষক আশিকুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি ১৮ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে বীজ ও কিছু আর্থিক সহযোগিতাও পেয়েছি। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবার বাজারে পেঁয়াজের দামও ভালো।

জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, দেশে পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় এই জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করেছিল। পেঁয়াজগুলো আকারে অনেক বড়। ৯-১০টি পেঁয়াজ দিয়েই ওজন এক কেজি হয়। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে কৃষকরা এ পেঁয়াজ চাষে সফলতা অর্জন করেছে। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং দেশে পেঁয়াজ সংকট কমে যাবে। আগামী বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ