সারাদিন হালকা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরের দিকে চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা। বিকেল হলেই শীত মোকাবিলায় জমতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানগুলো। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব দোকানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়, পোস্ট অফিস সংলগ্ন, কোট রোড, রেলবাজার ও গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাতের ওপর ও ভ্যান গাড়িতে করে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আর এসব কাপড় কিনতে ভিড় করছে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও।
চুয়াডাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী লিয়াতক আলী জানান, কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় শীত বেড়েছে। এ জন্য শহরের ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানে বেশ কেনাকাটা হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে। দাম সস্তা হওয়ায় নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের কাছে এই কাপড়ের চাহিদা রয়েছে বেশ।
ক্রেতা হযরত আলী জানান, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কী আর বড় বড় মার্কেট থেকে কাপড় কেনার সামর্থ্য আছে। তাই এখানে এসেছি। এখানে বিভিন্ন দোকান ঘুরে মেয়ের জন্য ২০০ টাকা ও ছেলের জন্য আড়াইশ টাকা দিয়ে একটা সোয়েটার নিয়েছি।
এদিকে, একদিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বেড়েছে শীতের দাপট। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ আবহাওয়া কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ