ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পের আওতায় নওগাঁর মান্দায় দুস্থ ও অসচ্ছল নারীদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সচিব ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগও করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জালাল চঞ্চল বলেন, ভিডব্লিউবি প্রকল্পের আওতায় তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ১৬০ জনের বিপরীতে অনলাইনে ৪৮১ জন নারী আবেদন করেন। নীতিমালা আছে, ১৫ শতাংশ বা তার কম জমি, ভূমিহীন ও স্বামী অসচ্ছল কৃষিশ্রমিক এসব পরিবারের নারীরা আবেদন করতে পারবেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান চঞ্চল আরও বলেন, কিন্তু আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই গত সোমবার বিকেলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রীতা রানী পাল, নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী ও সচিব রেজাউল করিম যোগসাজস করে লটারির মাধ্যমে তালিকা তৈরি করেন। এ তালিকায় অনেক বিত্তবান নারীর নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত হতদরিদ্র নারীরা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রামনগর গ্রামের আলতাফুন বেগমের স্বামী আলিমুদ্দীন শাহ ৪০ বিঘা সম্পত্তির মালিক। এছাড়া গোয়ালমান্দা গ্রামের হালিমা বেগমের স্বামী মোজাম্মেল হকের রয়েছে ৫ বিঘা আবাদি জমি।
সংবাদ সম্মেলনে লটারির মাধ্যমে তৈরি করা তালিকা বাতিলসহ পুনরায় যাচাই-বাছাই করে প্রকৃতদের তালিকা প্রস্তুতের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আম্বিয়া আক্তার, আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আহসান হাবীব, জামাল হোসেন, রাজু আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, যোগসাজসী কিংবা মনগড়াভাবে নয়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে তালিকা করা হয়েছে। এতে সচ্ছল কারও নাম তালিকায় আসলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ