যে বয়সে দৌঁড়-ঝাপ করে পাড়া-মহল্লা মাতিয়ে রাখার কথা। যে সময় বর্ণিল হয়ে ধরে দেয় শৈশব। আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায় জীবনজুড়ে। সে বয়সে বিছানায় শুয়ে যদি দিন পার করতে হয়, তবে কি আর মন মানে? মা-বাবার কি আর সহ্য হয়? ৮ বছরের শিশু অনুশ্রী সরকার। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার হার্টে ছিদ্র দেখা দিয়েছে। অন্যের সহায়তা নিয়ে মা-বাবা যতটুকু পারছেন, চিকিৎসা করাচ্ছেন। কিন্তু রোগ সারছে না। ডাক্তাররা বললেন, ভারত নিতে হবে। কিন্তু অনুশ্রীর বাবা-মায়ের পক্ষে ব্যাপারটা বড় জটিল। ভারত যাওয়ার সাধ্য আছে, কিন্তু টাকা নেই তাদের।
অনুশ্রী সরকারের বাড়ি জয়পুরহাট জেলাধীন আক্কেলপুর উপজেলার পৌর এলাকার বিহারপুর হিন্দুপাড়ায়। অনুপ কুমার সরকারের বড় মেয়ে।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাইকেল, অটো-ভ্যান মেরামত করে সংসার চালান অনুপ কুমার। কষ্ট করেই চলতে হয় তাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রায় ২ বছর আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনুশ্রী সরকার। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা চলার পরে ধরা পড়ে তার হার্টে একটি ছিদ্র রয়েছে। দরিদ্র পিতা,পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশীদের সহায়তা নিয়ে চালিয়ে আসছিলেন তার চিকিৎসা। কিন্তু বর্তমানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন ভারতে নিয়ে যাওয়ার। এজন্য প্রয়োজন প্রায় ৪ লাখ টাকা। একারণে অন্যের সহায়তা পেতে দৌড়-ঝাঁপ ও নির্ঘুম রাত পার করছেন তার পিতা-মাতা ও পরিবারের অনান্য সদস্যরা।
বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া সহায়তা নিয়ে করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্টও। চিকিৎসার পুরো টাকা জোগাড় না হওয়ায় আরও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পিতা-মাতা। অসুস্থ অনুশ্রী সরকারের পিতা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সামান্য আয়ে মেয়ের চিকিৎসা ও পরিবারের অন্যান্যদের চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমি সকলের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি, আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য। তার দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
অসুস্থ অনুশ্রী বললেন, আমি আবার স্কুলে যেতে চাই। আমি বাঁচতে চাই। শুয়ে থাকতে আমার ভালো লাগে না।
সহায়তার জন্য যোগাযোগ ও বিকাশ নাম্বার : ০১৭০৩-৫৪৩২৫৩
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ