একটি কিডনি বিকল, কেটে ফেলা হয়েছে ডান পা। শরীরে বেঁধেছে আরও বিভিন্ন রোগ। দিনরাত বাড়ছে সেই রোগের সীমাহীন যন্ত্রণা। এরপরও ৪ মেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন হামিদা বেগম।
অর্থাভাবে মৃত্যুর প্রহর গোনা হামিদা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পৌর এলাকার খাজানগর গ্রামের বাসিন্দা। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে অসহায় এই মা উন্নত চিকিৎসার সাহায্যের জন্য বিত্তশালীদের কাছে ঘুরেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না।
অভাবের সংসারে কোনো মতে জীবনযাপন করলেও উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অন্যের দেওয়া খাবার খেয়ে, কখনও বা একাধারে কয়েকদিন শুধু পানি পান করে কোনোমতে জীবনযাপন করেছেন হামিদাসহ ৪ কন্যা সন্তান।
সেই সঙ্গে অসুস্থতা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। হামিদাকে বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। যা তার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এখন তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
এদিকে, স্ত্রীর চিকিৎসার অর্থ জোগাতে এখানে-সেখান ছুটে বেড়াচ্ছেন অসহায় হামিদার স্বামী বৃদ্ধ লিলু মিয়া। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনিও উপার্জনহীন।
লিলু মিয়া বলেন, একসময় শরীরে শক্তি ছিল, পরিশ্রম করতে পারতাম। এখন বয়স হইছে, কাজ ঠিকমতো করবার পাই না। এমনিতে আমাদের অভাবের সংসার। আমাদের কোনো ছেলে সন্তান নেই, চার মেয়েকে নিয়ে কোনোভাবে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। তার মধ্যে আমার স্ত্রীর হামিদা বেগম অসুস্থতার কারণে অর্থের অভাবে তার সঠিক চিকিৎসা করাতে পারতেছি না।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে হামিদার প্রতিবেশীরা জানান, প্রতিমাসে ডায়ালাইসিস করা নয়তো কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে হামিদাকে বাঁচাতে হবে। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ছয়-সাত লাখ টাকা প্রয়োজন। প্রতিমাসে ডায়ালাইসিস করতে প্রয়োজন ২০-২৫ হাজার টাকা। যা তাদের পক্ষে ব্যয় বহন করা সম্ভব না।তাই হামিদাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চান তারা।
মৃত্যুপথযাত্রী হামিদাকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেছেন এলাকাবাসী।
সাহায্য পাঠানোর জন্য হামিদার মেয়ে ফাতেমা বেগম যোগাযোগ বিকাশ ও মোবাইল নম্বর: +880 16 0939 7742
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ