ভোলার মেঘনায় অর্ধডুবি সেই তেলবাহী কার্গো জাহাজ মেরিন আইন অমান্য করে চলাচল করেছে। জাহাজে ছিলেন না কোন ক্যাপ্টেন। ঘন কুয়াশায় অদক্ষ চালক দিয়ে পরিচালনার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিটিএ।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিকে আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিটিএ পরিচালক (নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগ) মো. শাজাহান এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।
তিনি বলেন, জাহাজের ফিটনেস রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি। দুর্ঘটনা কবলিত ওই জাহাজ মেরিন আইন ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তার আগে জাহাজটি উদ্ধার করা হবে। পদ্মা ওয়েল কোম্পানি এবং বিআইডব্লটাএ যৌথ প্রচেষ্টায় জাহাজটি উদ্ধার করা হবে। এ জন্য কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিটিএ ১৯ সদস্যের ডুবরি দল প্রস্তুত রয়েছে।
তবে কবে নাগাত জাহাজটি উদ্ধার হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। তৃতীয় দিনের মতো তেল ছড়িয়ে পড়ছে মেঘনায়। এতে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভোলা কোস্টগার্ডের জোনের অপারেশন অফিসার ল্যা. এম হাসান মেহেদি বলেন, উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোস্টগার্ড সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় থাকবে। আমাদের ডুবুরি দল প্রস্তুত রয়েছে।
এ দিকে দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের লস্কর ফরিদুল আলম পাটাওয়ারী বলেন, জাহাজে ক্যাপ্টেন ছিলা না, রাতে জাহাজ চালান সেকেন্ড মাস্টার শাহ পরান ও বড় মাস্টার বেল্লাল এবং সুকানি মুরাদ চালিয়ে ছিলো। যদি ক্যাপ্টেন থাকতো তাহলে এমন দুর্ঘটনা হয়ত ঘটতো না।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ