মির্জাগঞ্জের কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। একজন শিক্ষকের এমন কাণ্ডে এলাকা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যেও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ।
এদিকে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিষয়টি স্বীকার করলেও অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জাকির হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মো. শাহিন মজুমদার। শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রীর পিতা অভিযোগ করে বলেন, উপবৃত্তিতে নাম দেওয়ার কথা বলে আমার মেয়েকে বৃহস্পতিবার স্কুলে ডাকা হয়। সেখানে সকলের অগোচরে শিক্ষক জাকির হোসেন আমার মেয়েকে বিদ্যালয় ভবনের সিঁড়ির কাছে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এসময় ভবনের একটি নির্জন কক্ষে নেয়ার জন্য টানাহেঁচড়া করে আমার মেয়ের শ্লীলতাহানি ঘটায় শিক্ষক জাকির। এক পর্যায়ে আমার মেয়ে কোনো রকম সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে এসে তার দাদিকে বিষয়টি জানায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজ্জাক খান ও প্রধান শিক্ষক শাহিন মজুমদারকে জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক জাকির এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক আগেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে কিন্তু কোনোটিরই বিচার হয়নি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
প্রধান শিক্ষক শাহিন মজুমদার জানান, শ্লীলতাহানি করেনি। ওই শিক্ষক ছাত্রীর সাথে একটু খারাপ আচরণ করেছে, পরে আমরা বসে সমাধান করে দিয়েছি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজ্জাক খান বলেন, শিক্ষক জাকিরের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা সত্য। ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন এসে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হক বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ