পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকায় পৌষের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সূর্যাস্তের পর থেকেই খানিকটা হিমেল ছোঁয়া যেন শরীর জড়িয়ে থাকে। আর ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার চাঁদরে মুড়িয়ে থাকে গোটা এলাকা। তাই উষ্ণ সুরক্ষা পেতে কাপড় বিক্রির দোকানমুখী হচ্ছেন মানুষ।
তবে শীতের কবল থেকে সুরক্ষায় শরীর উষ্ণ রাখতে গরম কাপড়ের সন্ধ্যানে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ছুটছেন স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। ফলে এসব দোকানগুলোয় বেচা বিক্রির ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া শহরের গরম পোশাক বিক্রির দোকাগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে দ্বিগুণ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় পৌরশহরের মিনিসুপার মার্কেটে চটে বসা ভ্রাম্যমান পুরানো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। সাধ্যের মধ্যে প্রিয় মানুষের জন্য পোশাক কিনতে যাছাই বাছাই করছেন অনেকই। কেউ পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে রাখার আস্ত গরম পোশাকের খোঁজ করছেন, আবার অনেকে ছোটদের জন্য টুপিসহ করছেন সোয়েটারের খোঁজ । তবে এই মার্কেটে নারী ক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।
কথা হয় জেসমিন আক্তারের সাথে, মঙ্গলবারের হাটে তার সন্তান ও বয়ষ্ক বাবা মায়ের জন্য সাধ্যের মধ্যে গরম কাপড় কিনতে এসেছেন। তিনি জানালেন, দুই সন্তানের জন্য মোজাসহ সোয়েটার কিনেছেন ৬শ টাকায়। আর বাবা মায়ের জন্য কেনার চেষ্টা করছেন।
একই কথা জানান, ক্রেতা রুহুল-আমিন। তার ভাষ্যমতে, অল্প দামে মোটা কাপড় কিনতে হলে গাউনের (পুরোনো গরম কাপড়) দোকানের বিকল্প নেই। তবে নতুন পোশাকের দোকানে দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার।
বরিশাল থেকে আসা ভাসমান দোকানি আনোয়ার জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর মালের দাম অনেক বেশি। গাইড প্রতি অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে তাদের। তবে বেচা বিক্রি ভাল হওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর চন্দ্র বৈদ্য জানান, অতিরিক্ত মূল্য রাখার অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ