রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। একটানা বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলবে।
রংপুর সিটিবাসী এই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সবগুলো কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ইতোমধ্যেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ মনিটরিংয়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বেগম বলেছেন, কোনো সমস্যা দেখা গেলে গাইবান্ধার মতো সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
এবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাতটি রাজনৈতিক দলের সাতজনসহ মোট নয়জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। জামায়াতে ইসলামীর একজন মনোনয়নপত্র কিনলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
ভোটের লড়াইয়ে আছেন_সদ্য সাবেক মেয়র জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
ভোটাররা বলছেন, ভোটযুদ্ধের প্রচারণা, গণসংযোগ ও পথসভা করা ছাড়াও জনপ্রিয়তা অর্জনে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। আর সমানতালে প্রচারণা চালিয়েছেন সরকারদলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন। নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। তবে নয় জন প্রার্থীর মধ্যে আলোচনায় থাকা মোস্তফা-ডালিয়া-মিলনের ভোটের ব্যবধান কত হবে, তা নিয়েও হিসাব চলছে অন্দরমহলে।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী, তার কর্মী-সমর্থক ও দলীয় নেতারা বলছেন, ২০১৭ সালের নির্বাচনের মতোই এবারো বিপুল ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো লাঙ্গল প্রতীকে ভোট বিপ্লব হবে। আর ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও তার দলের নেতাদের দাবি, উন্নয়নের স্বার্থেই এবার নগরবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিজয় উপহার দিবেন।
উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ ও নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
এবার ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ