ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নবীনগরে মেয়রের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান

প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:০৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর শাখার বিধিমোতাবেক কিছু শূন্যপদে লোক নিয়োগে মেয়র শিব শংকর দাসের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলায় পৌরসভার কর্মরত এক নারী কর্মচারীকে অশালীন উক্তি করে অনৈতিকভাবে অস্থায়ী চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন মেয়র।

এর প্রতিবাদে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জানা যায়, পৌরসভার ‘সহকারী কর আদায়কারী’ ‘হিসাব সহকারী’ ‘টিকাদানকারী (পুরুষ)’ ও টিকাদানকারী (মহিলা)’ এই চারটি শূন্য পদে চারজন লোক নিয়োগের নিমিত্তে গত ২০ সেপ্টেমম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। সহকারী কর আদায়কারী পদে প্রার্থী সুমাইয়া ইসলাম লাকী ও টিকাদানকারী (মহিলা) পদে প্রার্থী শারমিন আক্তার মেয়রের স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ তুলে ধরে পৃথকভাবে জেলা প্রশাসক বরবারে দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত হয়। এতেই মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস রাগান্বিত হয়ে নানাহ্ অশালীন ও অমার্জনীয় উক্তি করে অস্থায়ী ভিত্তিতে পৌরসভায় কর্মরত সহকারী কর আদায়কারী পদে স্থায়ী নিয়োগ প্রার্থী সুমাইয়া ইসলাম লাকীকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

সুমাইয়া ইসলাম লাকী গত তিন বছর যাবৎ ওই পৌয়সভায় মাস্টাররোলে কর্মরত অবস্থায় থেকে কর আদায় বিভাগে দেড়বছর যাবত কাজ করে আসছেন।

তিনি বলেন, আমার আবেদনে কোনো ত্রুটি ছিল না, মেয়র ও আমার চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম ইসলামের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিরোধের জের ধরে আমাকে নাকচ করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন ‘ওকেতো মাস্টাররোলেই রাখতে চাই না, আবার চাকরি দিব, ওর চাচা আমার অনেক ক্ষতি করেছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, মেয়র মোটা অংকের বিনিময়ে উনার পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমাদের আবেদন বিনা কারণে নাকচ করেছেন।

এ ব্যাপারে মেয়র শিব শংকর দাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার পৌরসভায় মাস্টাররোলে অনেক পরিচ্ছন্নকর্মী কাজ করেন। তাদের আলাদা বিভাগ ও কর্মকর্তা রয়েছে। প্রতিদিনের হাজিরা ভিত্তিক এসব কর্মীদের দেখভাল তারাই করেন। আমি এগুলো দেখিনা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামূল ছিদ্দিক স্মারকলিপির প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, স্বারকলিপি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ