শরীয়তপুর-ঢাকা সড়ক চারলেনে উন্নিত করার লক্ষে কাজ চলছে। সড়কের মাঝের বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে না নেয়ায় নির্মাণ কাজ ব্যহত হচ্ছে। সড়কের মাঝে থাকা খুঁটি না সরিয়ে সেই খুঁটিতে নতুন করে তার স্থাপনে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্ভব হচ্ছে।

জানা গেছে, শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে শরীয়তপুর ফায়ার সর্ভিস থেকে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে চারলেনে উন্নিত করণ কাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণাধীন এই সড়কে ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রেমতলা পর্যন্ত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (অজোপাডিকো) এর ৩২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। সড়ক থেকে খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যায় ৬৯ লাখ টাকা ব্যায় নির্ধারণ করে ২০১৮ সালে সড়ক বিভাগকে পত্র দিয়েছে অজোপাডিকো। সড়ক বিভাগ অজোপাডিকোকে অর্থ সরবরাহ করেছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। ইতোমধ্যে ব্যায় প্রায় ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ৯ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।

স্থানীয়রা জানায়, সড়কের মাঝ থেকে বিদ্যুতের খুঁটি না সরিয়ে নতুন করে তার স্থাপন করার বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। এখন খুঁটিতে তার লাগাতে অর্থ ব্যায় হবে। খুঁটি সরিয়ে নেয়ার সময় আবার খরচ করে তার খুলতে হবে। একই কাজে সরকারের অর্থ বারবার খরচ না করে খুঁটি সড়কের মাঝ থেকে সরিয়ে একবারে তার লাগাতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।

শরীয়তপুর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভুইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে কাজ শুর হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রেমতলা পর্যন্ত সড়কে আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পিচ ঢালাই কাজ শুরু করা যাবে। সড়কের মাঝ থেকে বিদ্যুতের খুুঁটি সরিয়ে না নিলে কাজে বিলম্ব হতে পারে।

শরীয়তপুর অজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, সড়কের খুঁটি সরানো প্রকল্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ফরিদপুর অঞ্চল বিষয়টি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে। খুঁটি না সরিয়ে নতুন করে তার টানার বিষয়টি ফেসবুকে দেখি। সাথে সাথে তার টানা বন্ধ করে দেই। জানুয়ারির ৯ তারিখে টেন্ডার ওপেন করা হবে। খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। সড়ক বিভাগ স্টিমেটের টাকা পরিশোধে ৪ বছর সময় নেওয়ায় ৫৫ শতাংশ ব্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত অর্থ না পেয়েও ইতোমধ্যে খুঁটি সরানোর কাজ শুরু করেছি। বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য যেন সড়ক বিভাগের কোন বিলম্ব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

নয়াশতাব্দী/এমএস