ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাড়াইলে শীত-কুয়াশায় বিবর্ণ হচ্ছে বোরো বীজতলা

প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৩৭

শীত ও কুয়াশার কারণে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা শীত ও কুয়াশার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকনাশক ছিটিয়ে দিচ্ছেন। এই আবহাওয়া দীর্ঘ সময় থাকলে এবার তাড়াইলে বোরো ধানের চারার সংকট দেখা দিতে পারে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

তাড়াইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। হাইব্রিড ৬৩, উফশী ৪২২, স্থানীয় ৫ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয়েছে ৫০৯ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড ৭৫, উফশী ৪৩০ ও স্থানীয় ৪ হেক্টর জমিতে। ওই বীজতলার চারা দিয়ে ১০হাজার ৩৬০হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা যাবে।

তাড়াইল উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের কালনা গ্রামের কৃষক চান্দু ভুুঁইয়া বলেন, বোরো ধানের বীজতলার অর্ধেকই শীত ও কুয়াশায় বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নতুন করে আবারো বীজতলা তৈরি করতে হবে। যারা পৌষের শুরুর দিকে বীজতলা তৈরি করে বীজ ফেলেছে তারা সেই বীজ তলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে শীত ও কুয়াশা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কুয়াশা কমছে না, তাই দুশ্চিন্তায় আছি।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা বলেন, ধানের বীজতলার অর্ধেকই শীত ও কুয়াশার কারণে মরে যাচ্ছে। কৃষকরা বীজতলা রক্ষার জন্য ব্যাভিস্টিন, স্কোর, ডুডু, থিওভিটসহ বিভিন্ন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে বিবর্ণ, নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বীজতলা দেখা গেছে। শীতের কবল থেকে বীজতলা রক্ষা করতে শতশত বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছে কৃষকরা। যারা পলিথিন কিনতে পারেননি, তারা খড় দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন। কেউ বা বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে তা রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।

তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, শীত ও কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যদি এরকম আবহাওয়া থাকে ও বীজতলা বিবর্ণ হয়ে যায়, তাহলে প্রতি শতকে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এরপরও যদি না হয় তাহলে প্রতি শতকে ১০ গ্রাম হারে জিপসাম সার দিলে বিবর্ণ হওয়া কেটে যাবে।

তিনি বলেন, দেরিতে বপন করা বীজতলাগুলোর চারা শীত ও কুয়াশায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে প্রতিদিন তিন-চার ঘণ্টা করে রোদ পাওয়া গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।

পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন যারা বীজতলা তৈরি করছে তাদেরকে আমরা কাঁদা করে নয় শুকনা বীজতলা তৈরি করে বীজ বপন করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাকার পরামর্শ দিচ্ছি। আবার অনেকে শীত ও কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। এটা আধুনিক প্রযুক্তি। ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ