ডিভোর্স দেয়ার প্রতিশোধ নিতে স্ত্রী আকলিমা বেগমকে ছুরি দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামী একরাম চাপরাসীর বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরায় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে নিহত আকলিমার জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী একরামকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান এলাকাবাসী। আকলিমার বাবা আবদুল কাদের অজ্ঞাত দু’জনসহ একরামকে আসামি করে তুরাগ থানায় একটি হত্যা করেন।
নিহত আকলিমা ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আবদুল কাদেরের কন্যা ও নীলিমা জ্যাকব ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। স্বামী একরাম চাপরাসী একই এলাকার জয়নাল আবেদীন চাপারাসীর ছেলে।
আকলিমার বাবা আব্দুল কাদের জানান, চার বছর পূর্বে একরামের সাথে তার মেয়ে আকলিমার বিয়ে হয়। স্বামী একরাম তার মেয়ে আকলিমাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে। আকলিমা স্বামী একরামের নির্যাতন সইতে না পেরে স্বেচ্ছায় স্বামীকে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্স দেয়ায় একরাম আকলিমাকে মেরে ফেলবে এবং তাদের বসত ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়। জীবন রক্ষার্থে চার মাস আগে আবদুল কাদের তার মেয়ে আকলিমাকে নিয়ে ঢাকাতে চলে যায়। ঢাকা যাওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়ে বসতঘর পুড়িয়ে দেয় স্বামী একরাম। এ ঘটনায় দুলারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ রয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার তুরাগ থানা এলাকায় স্বামী একরাম সন্ধ্যার দিকে আকলিমাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকার লোকজনসহ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় অজ্ঞাত দু’জনসহ একরামকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তুরাগ থানার (ওসি) মওদুদ হালাদার জানান, নিহত আকলিমার বাবা আবদুল কাদের বাদী হয়ে অজ্ঞাত দু’জনসহ স্বামী একরামকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ