গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ডাণ্ডাবেড়ি পড়ে বিএনপি নেতার মায়ের জানাজা পড়ানোকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বললেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সবচেয়ে করুণ দৃশ্য হচ্ছে আলী আজমের মা মারা গেল, এরপর প্যারোলে সে জানাজায় আসলেন কিন্তু মায়ের কবরে নামতে পারলেন না। এটা অমানবিক, সে চোর কিংবা ডাকাত না।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কালিয়াকৈরের গাছবাড়ী পাবরিয়াচালা আলী আজম খানের বাড়িতে এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা অবৈধ পার্লামেন্টের বিলুপ্তি দাবি করছি। একটি সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য সরকারের কাছে আহবান করেছি। আমরা আবেদন করছি আপনারা শীঘ্রই পদত্যাগ করুন এবং মানুষের ভোটাধিকার ফেরত দিন।
এ সময় আলী আজম খানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি, আজম খানের স্ত্রী মাহবুবা আক্তার লিপির সঙ্গে দেখা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। তার পরিবারের সদস্যদের ও কারাবন্দী আলী আজম খানের খোঁজখবর নেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. শফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহম্মেদ, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আ.ন.ম. খলিলুর রহমান ইব্রাহিম ও কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ গাজীপুর জেলা ও কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবু অরুন প্রসাদ মজুমদার সঞ্চালনা করেন।
উল্লেখ্য : ককটেল বিস্ফোরণ ও আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙচুরের মামলায় গত ২ ডিসেম্বর রাতে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো আলী আজম খানকে। পরে মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে নিজ বাড়ি উপজেলার গাছবাড়ি পাবরিয়াচালা এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হয়ে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পড়েই মায়ের জানাজা পরপর বিএনপির এই নেতা।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ