শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে পুষ্টিবান্ধব কমিউনিটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বলেছেন, পুষ্টি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সকল স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করতে হবে। একইসঙ্গে শিশুদের জন্য খাদ্যের বৈচিত্র্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে উন্নয়ন সংস্থা ‘গুড নেইবারস-বাংলাদেশ’ (জিএনবি) নিউট্রিশন প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তারা। জিএনবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাইনুদ্দিন মইনুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হৃদয়স্পর্শী অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের কুমাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, আমি আগে স্কুলে গিয়ে ক্ষুধার্ত থাকতাম এবং দুর্বল বোধ করতাম। যে কারণে স্কুলে অনুপস্থিত থাকতাম। ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারতাম না। কিন্তু মিড-ডে মিল চালু হওয়ার পর থেকে আমি নিয়মিত স্কুলে যাই। লেখাপড়াও ভালো চলছে।
সভাপতির বক্তব্যে এম মাঈনউদ্দিন মইনুল ‘শিশুদের জন্য বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ভিত্তিক পুষ্টি প্রকল্প’র অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, দেশে দারিদ্র্য হ্রাস ও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ এখনো খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশই শিশু। বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ২৩ শতাংশের ওজন কম। যাদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর রিসার্স এণ্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরডি) ড. মো. মোখলেছুর রহমান। জিএনবি’র উপদেষ্টা ডা. আবু জামিল ফয়সেল, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, ওয়াল্ড ভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রাম কোয়ালিটি) চন্দন জেড গোমেস, ডব্লিউএফপি’র প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার নিগার দিলনাহার, রাড্ডা এমসিএইচএফপি নির্বাহী পরিচালক ড. নাসরিন আক্তার, লেখক ড. কাশফি পন্ডিত, এডিবি’র কারিগরি উপদেষ্টা আজিম উদ্দিন মোহাম্মদ প্রমূখ।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ