ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতের প্রভাবে ভিড় বাড়ছে ঈশ্বরদীর ফুটপাতে

প্রকাশনার সময়: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:২৩
স্টেশন রোডের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি : নয়া শতাব্দী

শীত নিবারণে সাশ্রয়ী মূল্যে গরম কাপড় কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। শীত যতই জেঁকে বসছে দিন দিন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতিও বাড়ছে।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু শহরেই নয় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পুরনো কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুরনো কাপড়ের দোকানে কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, ক্যাপ, চাদর, পায়ের মোজা, প্যান্ট, গেঞ্জিসহ সব ধরনের পোশাক রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেকটা বেশি। পুরাতন কাপড়ের মার্কেট হিসাবে পরিচিত হকার্স মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, একটি সোয়েটার ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

ক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, এখান থেকে দুই তিন হাজার টাকার গরম কাপড় কিনলে পরিবারের সবার চাহিদা মোটামুটি পূরণ হয়ে যায়। তবে গরম কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় একটু বেশি।

ঈশ্বরদীতে গত কয়েকদিন ধরেই শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। এতে বেড়েছে গরম পোশাক বিক্রি। বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাত, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে এসব গরম পোশাক। বিশেষ করে জ্যাকেট, সোয়েটার, টুপি, মোজা বিক্রির ধুম পড়েছে। তবে কম দামে গরম পোশাক কিনতে হকার মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে স্বল্পআয়ের মানুষের ভিড় জমেছে।

১৫০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব শীতের পোশাক। যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের পোশাক, বেবি কিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, মাফলার ও নতুন ডিজাইনের কানটুপি।

এসব দোকানে ছেলেদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে গেঞ্জি ও ট্রাউজারের কাপড় দিয়ে তৈরি হুডি, ফুলহাতা টি-শার্ট, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, মিক্স স্টাইলের সোয়েটার আর ব্লেজার।

শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান গুলোতেও পুরনো গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। এখানেও ক্রেতার ভিড় চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যার পর থেকেই দোকানগুলোতে পা ফেলার জায়গা থাকে না। পুরনো সোয়েটার, জাম্পার, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, মোজা, মাফলার পাওয়া যায় খুব অল্প দামের মধ্যে।

শহরের ষ্টেশন সড়কের কাপড় বিক্রেতা তুহিন বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে অনেক আগে শীত জেঁকে বসেছে। তবে শহরে তেমন শীত অনুভূত হচ্ছিল না। গত কয়েকদিন ধরে শহরে ধীরে ধীরে শীত বাড়ছে। এ কারণে শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে।’

সড়কের ফুটপাতের পোশাক বিক্রেতা নজরুল মিয়া বলেন, ‘শীতের কাপড় কেনার জন্য স্বল্পআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনাও বেশি হচ্ছে। তবে আমাদের এখানে বেশিরভাগ ক্রেতা হচ্ছেন মধ্যবিত্তরা। কারণ তাদের বাজেট অনুযায়ী এখানে বেচাকেনা হয়ে থাকে।’

আরেকজন কাপড় বিক্রেতা ফজলুর রহমান বলেন, ‘এতদিন তেমন বেচাকেনা ছিল না। তবে গত কয়েকদিন ধরে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। শীত বাড়লে বেচাকেনা আরও বাড়বে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ