ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিজয় মেলার আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করার কর্মসূচি থাকায় বিজয় মেলার আলোচনা সভা বাতিল করে মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রশাসনের নির্দেশে মেলা কর্তৃপক্ষ এই আলোচনা সভার মঞ্চ ভেঙে ফেলে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৯৯৪ সাল থেকে আশুগঞ্জ সমন্বিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র স্থানীয় সরকারি শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র মাঠে ঐতিহ্যবাহী এ বিজয় মেলার আয়োজন করে আসছে। শুরু থেকেই প্রতিবছর উক্ত মেলার মঞ্চের দিন ওয়ারি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি ও জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দেশের খ্যাতনাম কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীগণ উন্মোক্ত আলোচনা করে আসছে। আলোচনা সভার পাশাপাশি প্রতিদিন মেলার মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ও মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়ে থাকে।
মেলার সপ্তম দিন বৃহস্পতিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান ও সাবেক এমপি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিজয়মঞ্চে বক্তৃতা করার ব্যাপারে আপত্তি তোলা হয়। ফলে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনের নির্দেশে মেলা কর্তৃপক্ষ মঞ্চ ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয় এবং আলোচনা সভা স্থগিত করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়।
অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও উক্ত মেলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ১০ দিনব্যাপী মেলার দিন ওয়ারি কর্মসূচি সাজানো হয়। পরে সংশ্লিস্ট প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মেলার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু বিএনপির আলোচনা সভা নিয়ে বিপত্তি দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির মুন্সি জানান, বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ডেকে আলোচনা সভা বাতিল রাখার অনুরোধ করেন এবং তারা বলেন বিএনপির আলোচনা সভা স্থগিত না করলে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে।ৎ
সমন্বিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর শরীফুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক লিটন মোল্লা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রোগ্রামে পলাতক আসামি থাকা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা বলে আলোচনা সভার মঞ্চ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হলে আমরা মঞ্চ ভেঙে ফেলি।এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মেলার আলোচনা সভার মঞ্চটি খুলে ফেলতে বলা হয়েছে। যথারীতি মেলার রকমারি স্টলগুলো নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত চলবে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ