উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আজ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি বলে খাল দখল করেন, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি বলে আজ খেলার মাঠ দখল করে ফেলছেন। আজ অনেকেই অন্যের কথা চিন্তা না করে আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি বলে বলে খাল, খেলার মাঠ, বাড়ি-গাড়ি দখল করে ফেলছেন। কারণ তারা দেশকে ভালো না বেসে নিজেকে ভালোবাসেন। তাই আজ সময় এসেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার। আসুন আপনাদের নিয়ে এদের বিরুদ্ধে প্রতিহত করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিটি ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক হবে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, ‘এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। সিটি করপোরেশনের অফিসে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ থাকবে এবং আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। সেবা নিতে এলেই তারা সেই কক্ষে বসবেন।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমি আতিক মেয়র হয়েছি, যারা আজকে এমপি-মন্ত্রী হচ্ছি, সচিব হচ্ছি, দেশে বড় বড় পোস্টে চাকরি করছি—যদি আপনারা (মুক্তিযোদ্ধারা) দেশকে স্বাধীন না করতেন, তাহলে আমরা কিছুই হতে পারতাম না। আজকের এই আয়োজন শুধু ঢাকা সিটির মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য না। এই আয়োজন সমগ্র দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য।’
ডিএনসিসি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই যেমন যুদ্ধে গিয়েছিল, ঠিক তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে এই দেশটাকে, এই শহরটাকে সবার জন্য গড়ে তুলব।’
১০ বছর কবর সংরক্ষণের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনের বিষয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘শুধু ১০ বছরের জন্য নয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর সারা জীবন সংরক্ষণ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। খরচ ছাড়া ডিএনসিসির আওতাধীন সবগুলো কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে ডিএনসিসি।’
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ মোট ১২শ’ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা শেষে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ