নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবইবিলে এ বছর গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার পরিযায়ী পাখি কম এসেছে। জবইবিল জলাভূমিতে এ বছর সব মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার পরিযায়ী পাখি এসেছে। গত বছর আসা পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৯ হাজার। জবইবিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে জবইবিলের পাখি জরিপ প্রকাশ উপলক্ষে সংস্থাটির উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন।
জবইবিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোহানুর রহমান সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর, বনবিভাগ সাপাহার রেঞ্জের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিবিসিএফ নওগাঁ জেলা কমিটির সভাপতি হেফজুল ইসলাম, জবইবিল মৎস্য সমবায় সমিতির দলনেতা মমতাজ উদ্দিন, জবইবিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা ডা. খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।
জবইবিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ পাখিশুমারি চালায়। এ পাখিশুমারিতে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহযোগিতা করে। এই সময়ের মধ্যে ২৮ প্রজাতির পরিযায়ী পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে। বিলে আসা পরিযায়ী পাখির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার পাতি-সরালি পাখির বিচরণ করে। সারা পৃথিবী জুড়ে বিপন্ন লালমাথা পাতিভূতি হাস ৮০০ ও চকাচকি পাখি ৬টি শুমারির সময় দেখা গেছে। এ বছর বিলে পাখি কম আসার পেছনে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন জবইবিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোহানুর রহমান।
তিনি বলেন, বিলে অধিক পরিমাণ মাছ আহরণ, মাত্রাতিরিক্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, বিলের জলে অত্যাধিক গৃহপালিত হাঁসের অবাধ বিচরণ, পাখি শিকারীদের উৎপাত, অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, বিলের পাশে মিশ্র প্রজাতির গাছের অভাব, বিলসমৃদ্ধ এলাকার জনগণের মাঝে সচেতনতার অভাব ও দর্শণার্থীদের উচ্চস্বরে গান-বাজনা ও মাইক বাজানোর কারণে বিলে পাখির বিচরণ কমে গেছে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ