তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল কথা হচ্ছে- সব ক্ষেত্রে অটোমেশন। মানুষ ব্যস্ততার জন্য যা করতে পারে না, তা-ই যন্ত্রের সাহায্যে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অথবা প্রোগ্রাম সেট করে দেওয়ার মাধ্যমে সুচারুরূপে সম্পন্ন করাই হচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গোড়ার কথা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের যাপিত জীবনকে অনেক সহজ করে দেবে। তবে এর সুফল পেতে হলে আমাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ হতে হবে।
তিনি বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ-বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্যসচিব বলেন, সরকার যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিল, তখন তা অনেকে বুঝতে পারেনি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন বৃদ্ধা মাকে প্রবাসী ছেলের সঙ্গে ঘরে বসে সরাসরি কথা বলিয়ে দেওয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এভাবেই কষ্ট করে তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারনা সর্বক্ষেত্রে বোঝানো ও জনপ্রিয় করতে হয়েছিল।
আশার কথা হলো- তখনও গণমাধ্যম নতুন এ ধারনাটি প্রচার করে এর সপক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরি করেছিলো। বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ধারনাটিও তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে। এর বিস্তারিত তুলে ধরে নতুন এ ধারনাটি মানুষকে বোঝাতে হবে।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় যেসব উপাদান ভূমিকা রাখবে, তার অন্যতম হলো- স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে গণমাধ্যমকে অতীতের মতো চালকের ভূমিকা নিতে হবে।
বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম।বিভিন্ন সেশনে বক্তব্য রাখেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার প্রমুখ। সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমসমূহের প্রতিনিধিগণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারের বিভিন্ন সেশনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে অংশগ্রহণকারীগণ সুপারিশ তুলে ধরেন। এর আগে তথ্যসচিব বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি এ কেন্দ্রে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ