ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ড্রেজারে মাটি উত্তোলন, হুমকিতে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি

প্রকাশনার সময়: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:১২

জামালপুরের মেলান্দহের ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ভাগবাড়ি হাড়ি খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙার আশঙ্কায় রয়েছে বসত-বাড়িসহ ফসলি জমি।

অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ফরিদুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, খালে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু মাটি উত্তোলন করায় বসতবাড়ি সংলগ্ন খালের পাড় ভেঙে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আমার বাড়ি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত বছর একই জায়গায় মাটি উত্তোলন করায় প্রায় ৫ শতাংশ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাল থেকে গত ৫ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ঝাউগড়া এলাকার ড্রেজার মেশিন মালিক আনিছ ও বিল্লাল। সকাল-সন্ধ্যা বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পানির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি। বালু উত্তোলনে নিষেধ করায় উল্টো হুমকি দেয়া হচ্ছে।

ফরিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরে একই জায়গায় মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করেছে। গত বছরের বালু উত্তোলনের ফলে আমার জমি ভেঙে গেছে। আবার এ বছরে একই জায়গায় মেশিন বসিয়ে বালু তোলা শুরু করেছে। এখন আমার বাড়িঘরসহ জমি ভাঙার আশঙ্কায় রয়েছে। খাল থেকে তাদের বালু তুলতে কয়েকবার না করেছি। সেজন্য তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। বিক্রিও করা হচ্ছে। গত বছরের বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন ধরেছে কয়েক জায়গায়। বর্তমানে খাল পাড়ের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে।

ড্রেজার মালিক আনিছ বলেন, কেনা জায়গা থেকে মাটি কাটছি। এখন কে কি অভিযোগ করল না-করল, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিয়া বলেন, অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ড্রেজার বন্ধ করতে আমি লোক পাঠাচ্ছি।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ