ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শরীয়তপুরে ১০৪ শিক্ষার্থীর কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত

প্রকাশনার সময়: ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:২৩

শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের ১০৪ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই নিজ প্রতিষ্ঠানকে প্রথম পছন্দে রেখে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে রাখেন। শিক্ষা বোর্ড দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের সুযোগ করে দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। নয়তো এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না।

জানা গেছে, ২০২২ সনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যে সকল শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের কলেজে ভর্তির আবেদন অনলাইনে করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেয় শিক্ষা বোর্ড। আবেদনের শুরুর দিনেই ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে নিজ কলেজকে পছন্দের তালিকায় রেখে অনলাইনে আবেদন করে রাখেন। শিক্ষার্থীরা যখন তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে যায় তখন অনলাইনে তাদের আবেদন গ্রহণ না করে ইতোপূর্বে আবেদন করা হয়েছে মর্মে নোটিশ করে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, চলতি বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসিতে কৃতকার্য হয়েছে। কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু হওয়ায় অনলাইনে আবেদনের জন্য তারা যায়। আবেদন ফরম পূরণ করে সেন্ট করা হলে সার্ভার তা গ্রহণ করে না। শুধু রিপ্লাই আসে ইতোপূর্বে আবেদন করা হয়েছে। সেখানে ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিটিশন অ্যান্ড কলেজকে প্রথম পছন্দ দেখায়। পছন্দের তালিকায় অন্য যে কলেজের নাম দেখায় তার কোন অস্তিত্ব আছে কিনা তাও জানি না।

শিক্ষার্থী অভিভাবকরা জানায়, প্রতিযোগিতার শিক্ষায় সন্তানদের একটা ভালো কলেজে ভর্তি করার সুযোগ রইল না। এই কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করে রেখেছে। আমরা তা জানতাম না। এখন অন্য কলেজে ভর্তির আবেদন নেয় না। এই কলেজ শাখায় কোন শিক্ষক নাই। তাছাড়া সন্তানরা এই কলেজে ভর্তি হতে চায় না। কলেজ কর্তৃপক্ষের লোভের কারণে সন্তানদের পড়ালেখা মনে হয় বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ কবিরাজ আব্দুল খালেক বলেন, শিক্ষার্থীরা এই কলেজে ভর্তি হতে না চাইলে কিছুই করার নাই। পরবর্তীতে ভর্তির সুযোগ দিলে তখন অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারবে। ভর্তির জন্য আমরা কাউকে আর জোর করব না।

সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদ হোসেন বলেন, এই বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আমার কাছে ফোনে অভিযোগ করেছে। তাদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ