পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী বিভাগের আওতায় পাবনার দিলপাশার ইউনিয়নে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলরুটে ২৫ নম্বর বাউজান রেলওয়ে গার্ডার ব্রিজে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগামী বছরের মে মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের জন্য ওই রেলওয়ে ব্রিজ দিয়ে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলরুটে অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় রেললাইন তৈরি করা হয়। পরে অস্থায়ীভাবে সিসিক্রিপ বসিয়ে (কাঠের স্লিপারকে লোহার এ্যাঙ্গেল রেললাইনে বসিয়ে) অস্থায়ীভাবে বিকল্প রেললাইন স্থাপন করা হয়।
অস্থায়ী রেললাইন তৈরির পর রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন, ঢাকা থেকে আসা রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি পারাপার করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে সবগুলো ট্রেন পারাপার করা হয়। বাউজান ব্রিজে সংস্কারকাজ যতদিন চলবে, ততদিন অস্থায়ী ব্যবস্থাপনার ওই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল জানান, ব্রিটিশ আমলে ইট-বালু সিমেন্টের বদলে চুন-সুড়কি, ভাতের মাড় দিয়ে নির্মাণ করা হয় বাউজান ব্রিজ। একশো বছর অতিক্রম করার পর ব্রিজের পিয়ারের গাঁথুনির চুন-সুড়কির যে গুণাগুণ, তা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বর্ষার আগে টেন্ডার হয়েছিল। কাজও শুরু হয়েছিল। কয়েকদিনের মাথায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গার্ডার রেলওয়ে ব্রিজের ওপর দিয়ে আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনসহ ১৯ জোড়া আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল ও মালবাহী ট্রেন ৮৫ কিলোমিটার গতিতে না চলে ১০ কিলোমিটার গতিতে অতিক্রম করে। সংস্কার কাজ শেষ হলে আগের গতিতে ট্রেন চলবে।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে ইটের সঙ্গে চুন-সুড়কি আর ভাতের মাড় দিয়ে ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল। ওই গার্ডার ব্রিজের ওপর ট্রেনগুলো ওঠার আগেই শূন্য কিলোমিটার গতিতে থেমে যেত।
একশো বছর অতিবাহিত হওয়ায় গার্ডার ব্রিজে পিয়ারের গাঁথুনির চুন-সুড়কির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বেডব্লকে ফাটল ধরেছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ