মোংলায় আধুনিক প্যাথলজিতে ইসিজির কাজ করেন একজন ঝাড়ুদার/আয়া। ওই বৃদ্ধা মূলত আধুনিক প্যাথলজিতে ঝাড়ুদার/আয়ার চাকরি করে থাকেন। প্যাথলজিতে আসা রোগীর ইসিজি ওই ঝাড়ুড়ার নিজেই করার বিষয়টি ফাঁস হলে এ নিয়ে রোগীসহ স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান সোহেল জানান, শুক্রবার দুপুরে ইসিজি করানোর জন্য তিনি পৌর শহরের ১ জেটি সংলগ্ন ঘোষ ডেয়ারির মোড়ে সামাদ কমপ্লেক্সের আধুনিক প্যাথলজিতে যান। সেখানে যাওয়ার পর প্যাথলজির ঝাড়ুদার বেগম (৬৫) তার ইসিজি করেন। বৃদ্ধা ইসিজি করায় তাতে তার সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে তিনি আশপাশে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন ওই বৃদ্ধা অনভিজ্ঞ ও সেখানকার ঝাড়ুদার। বিষয়টি জানাজানি হলে আধুনিক প্যাথলজি নিয়ে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভের পাশাপাশি নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
ঝাড়ুদার বেগম বলেন, আমি আধুনিক প্যাথলজিতে আয়ার চাকরির পাশাপাশি ফাঁকে ফাঁকে ইসিজি ও করি। আমাকে দিয়ে করালে আমার দোষ কি, আমি তো এখানে চাকরি করি। তার কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে করতে করতে শিখেছি, বাস্তব কোন অভিজ্ঞতা ও সনদ নেই।
আধুনিক প্যাথলজির মালিক অনিমেষ সাহা বলেন, লোক ছিলো না তাই বেগম করেছে, সে করতে পারে। সে এখানে আয়ার চাকরিও করেন। যদিও তাকে দিয়ে এটা করানো ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, এখানকার সবগুলোতেই এমন অনভিজ্ঞ লোকেই তো করছে, তাদের কেউই তো অভিজ্ঞ নন। এটা আবার লিখবেন কেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন বলেন, ঝাড়ুদারকে দিয়ে ইসিজি করানোটা কোনভাবেই ঠিক করেনি আধুনিক প্যাথলজি। এরজন্য অবশ্যই একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক থাকতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাস বলেন, অনভিজ্ঞ তো পরের কথা, ঝাড়ুদার দিয়ে তো এটা কোনভাবেই করাতে পারেন না। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি এবং ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকেও বলছি এখনই।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ