চলছে পৌষের কনকনে শীত। দুই পায়ে বাধা ছিল রশি, পুরো শরীর খড়ের গাদার ভিতরে। খড়ের গাদার মালিক প্রথমে রশি দিয়ে বাঁধা দুই পা দেখতে পেয়ে লাশ ভেবে স্থানীয়দের ও থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে থানা পুলিশ। শরীরের উপর থেকে খড় সরিয়ে দেখা যায় ঘুমিয়ে আছে এক পাগল। ঘটনাটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের পৌর এলাকার পশ্চিম মানিকপাড়া গ্রামে ঘটেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে গোয়ালঘর থেকে গরু বাইর করার জন্য রাস্তার পাশের গোয়ালঘরে যায় পশ্চিম মানিকপাড়া গ্রামের মহাতাব উদ্দীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন। গোয়ালঘরের দরজার সামনের খড়ের গাদা এলোমেলো দেখে সামনে এগিয়ে আসলে দেখতে পায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় দুটি পা। কোন নড়াচড়া না থাকায় ধারণা করেন কাউকে হত্যা করে সেখানে লাশ রেখেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এবং স্থানীয়রা ভিড় করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা প্রেসক্লাব এর সভাপতি শফিউল আলম প্রথমে সেই দুটি পায়ের নড়াচড়া লক্ষ্য করেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে শরীরের উপর থেকে খড় সরিয়ে দেখা যায় সেখানে ঘুমিয়ে আছে এক পাগল। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে পুলিশ।
খড়ের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার খড়ের গাদা এলোমেলো দেখে খড় চুরি হয়েছে ভেবে খড়ের গাদার কাছে যাই। সেখানে দড়ি বাঁধা অবস্থায় দুটি পা দেখতে পাই। পরে বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানালে ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে দেখা যায় পাগল ঘুমিয়ে আছে।
৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেজবাউল সরদার গবু বলেন, খড়ের গাদায় একটি মরদেহ রয়েছে এমন খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। পরে দেখা যায় সেখানে পৌষের শীতের প্রকোপে একটি পাগল ঘুমিয়ে আছে।
আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, খড়ের গাদায় লাশ রয়েছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে খড় সরিয়ে দেখা যায় ঘুমিয়ে আছে এক পাগল। পরে তাকে উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে ও তাকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে শীতের কারণে সে খড়ের গাদায় ঘুমিয়ে পড়ে। তবে তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ