ইশ্বরদীতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এদিকে ১৩ ডিসেম্বর ঘটনার দিবাগত রাতে থানায় এজাহার দেওয়া হলেও মামলা রেকর্ড হয় ১৫ ডিসেম্বর। এজাহারে ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের হলেও রোববার (১৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেননি। এমনকি অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির এসএমই ল্যাবরেটরি ইউনানি কারখানা বন্ধে কোনো অভিযানও পরিচালিত হয়নি।
আহত দুই সাংবাদিক এশিয়ান টিভির ঈশ্বরদী প্রতিনিধি রাসেল আলী (২৬) এবং দৈনিক মুক্তখবরের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনদাবীর স্টাফ রিপোর্টার শিশির মাহমুদ।
তারা জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরির খবর সংগ্রহ করতে ওই কারখানায় গেলে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার শিমুল কৌশলে কারখানার মূল ফটক বন্ধ এবং বিদ্যুতের মেইনসুইচ অফ করে দেয়। পরে মালিক মাহাবুব আলমসহ আরও কয়েকজন আমাদের ঘরে আটকে রেখে বেদম মারধর এবং ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এসময় লোহার রড, জিআই পাইপ, লোহার হাতুড়ির আঘাতে শিশিরের মাথা ফেটে যায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, আসারি গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ