পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একই দিনে পৃথক যায়গা থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লালুয়া ইউপির সোনখোলা গ্রামে একটি পুকুরে গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তার ডলির (২৬) ভাসমান মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মৃত গৃহবধূ ওই গ্রামের বনি ইয়ামিনের স্ত্রী এবং তার একটি পুত্র ও এক কণ্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইনুস মিয়া জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী নির্মাণাধীন একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে খাবার হোটেল দিয়ে ব্যবসা করছেন। তাই দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে থাকতেন ডলি। কিন্তু তার সাথে কী ঘটেছে তা সবারই অজানা।
এদিকে একই উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউপির পূর্ব মধুখালি গ্রাম থেকে ইমা নামে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর নিজ শয়ন কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। মৃত ইমা ওই গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের মেয়ে এবং পূর্ব মধুখালি সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আইয়ূব আলী জানান, মোবাইল ফোন নিয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.জসিম জানান, পৃথক যায়গা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এই মুহূর্তে আমারা সঠিক কোন কারণ জানতে পারিনি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ