পাবনায় মেয়েরে সাথে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় বখাটের ছুরিকাঘাতে মেয়ের পিতা নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এঘটনায় পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভাড়ারা শাহী মসজিদের পাশে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদ হোসেনের বাড়ি ভাড়ারা ইউনিয়নের মধ্য জামুয়া গ্রামে।
ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ জানায়, ভাড়ারা মধ্য জামুয়া গ্রামের ইয়াজ উদ্দিন প্রামানিকের বখাটে ছেলে অনিক হোসেনের (২৬) সাথে ফরিদ হোসেনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের এনগেজমেন্ট হয়। বখাটেপনার কারণে সেই বিয়ে বাতিল করেন মেয়ের পরিবার। পরে প্রায় ছয় মাস আগে ফরিদ হোসেন তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। তারপর থেকে বখাটে অনিক ফরিদের পরিবারের উপর নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ভাড়ারা শাহী মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফরিদ হোসেনকে অনিক ও তার সহযোগীরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, শুক্রবার নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা পারভীন বাদী হয়ে বখাটে অনিকসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ