মহাকালের রথের চাকা থামে না কখনো, চলে সে এগিয়ে, চলছে এখনো। বদলায় যুগ, কাল। জীবনধারা বদলে যায়, সংস্কৃতি বদলে যায়। বিজ্ঞানের অনাবিষ্কৃত জগতের রহস্য সন্ধানে জগতের সবচেয়ে বড় রহস্য মানুষ সর্বদান্যস্ত এবং মহাব্যাস্ত। নিজেদের প্রয়োজনে আনন্দের নানা উপকরণ মানুষ নামক রহস্যময় সৃষ্টি নিজেরাই করেছে সৃষ্টি। অনাসৃষ্টির নানা উপকরণের করণ এবং কারণ তাদেরই আবিষ্কার।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি-বিপ্লবের এ সময়ে পণ্য বা সেবার মার্কেটিং-এর ধরন-ধারণে নানাবিধ পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। সনাতনী মার্কেটিং ব্যাবস্থার স্থান দখল করছে ডিজিটাল মার্কেটিং। কেননা আধুনিক মানুষ ক্রমেই ঝুঁকে পড়েছে ডিজিটাল বা অনলাইনের দিকে। ব্যাবসা-বানিজ্য, কেনাকাটা সব কিছুতে ভাগ বসিয়েছে অনলাইন মাধ্যমগুলো।
প্রযুক্তির কাঁধে ভর করে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে মানুষের জীবনযাপনে, পরিবর্তিত হচ্ছে আয়ের মাধ্যমও। একটা সময় ব্যবসার প্রচার বা মার্কেটিং এনালগ হলেও বর্তমানে তাতেও ভাগ বসিয়েছে ডিজিটাল মাধ্যম। যে বিষয়টিকে আমরা বলে থাকি ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’। একইসঙ্গে কর্মসংস্থানের এক নতুন দিগন্তের সূচনা করছে এই মাধ্যমটি।
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে একটি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, কাজ বা সেবাকে অতি দ্রুত সময়ে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন অপরিহার্য। একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারই পারেন একটি প্রতিষ্ঠানকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের কাছে পরিচয় করাতে। অন্য দিকে, বর্তমান বাংলাদেশে বেকার সমস্যা সমাধানে অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে এই মাধ্যমটি। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে যে কেউ দেশে বসেই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দেশ তথা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহজেই আয় করতে পারছেন, অসংখ্য এমন উদাহরণ রয়েছে দেশে।
ডিজিটাল মার্কেটিং-এ দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হলে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই সহজ। কারণ এ সেক্টরে কাজের প্রচুর সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। বর্তমানে ক্যারিয়ারে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে এই সেক্টর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখছেন ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞগণ। দেশ-বিদেশে জব পেতে বা উদ্যাক্তা হতে ডিজিটাল মার্কেটিং-এ দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।
ডিজিটাল মার্কেটিং-এ দক্ষ জনবল তৈরি করার উদ্দেশ্যে কিছু তরুণ কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত। দেশের কয়েকজন তরুণ ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট তাদের নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কোন রকম পারিস্রমিক ছাড়াই অন্য আগ্রহী তরুণদের ডিজিটাল মার্কেটিং শেখাচ্ছেন। শেখাচ্ছেন কী করে এ মাধ্যমে আয়ের পথ সৃষ্টি করবেন, কি করে উদ্যাক্তা হবেন এ মাধ্যম ব্যাবহার করে, ডিজিটাল মার্কেটিং এ জবের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করছেন।
তরুণদের ডিজিটাল মার্কেটিং এ পথ প্রদর্শক এমন একজন হলেন মো. তাজবীর হোসাইন সজীব। তিনি নিজেও তরুণ। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে মো. তাজবীর হোসাইন সজীব দীর্ঘদিন ধরে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন নিজেকে।
সার্টিফিকেটে মোঃ তাজবীর হোসাইন হলেও সাংবাদিকতা, লেখালিখি এবং সংগঠনের সকলের নিকট তিনি তাজবীর সজীব নামেই পরিচিত। ২০১১ সাল থেকে তিনি সাংবাদিকতা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন অনলাইন নির্ভর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল, বেশ কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা তাকে তখন থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলেছে। বর্তমানে তিনি মূলধারার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর CEO এবং Director of Digital হিসেবে কর্মরত আছেন। অনলাইন গণমাধ্যমটির প্রিন্ট ভার্শন অর্থাৎ দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্বরত আছেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং বেশ কিছু ই-কমার্স উদ্যাগের ডিজিটাল মার্কেটিং এডভাইজার হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি অনলাইনভিত্তিক ব্যাবসায় শতাধিক তরুণ উদ্যক্তাকে বিনা পারিশ্রমিকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মো: তাজবীর হোসাইন সজীব শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ট্রেইনিং দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানেও তিনি কর্মীদের ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন।
১১ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও নিয়ে “ইফেকটিভ মেথড অব ডিজিটাল মার্কেটিং" নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। বাস্তবিক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি, কয়েকটি প্যাক্টিক্যাল প্রফেশনাল কোর্স, ইন্টারন্যাশনালি স্বনামধন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে কোর্স, গুগল গ্যারেজ থেকে তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সার্টিফিকেট কোর্স সফলতার সাথে সম্পন্ন করে নিজেকে আরও ঋদ্ধ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর IBA থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর সার্টিফিকেট কোর্স করে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষতার আয়তন আরও বাড়িয়েছেন।
বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখায় এখন পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের হাত থেকে ৮টি সন্মাননা স্মারক তার ঝুলিতে জমা করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে মো: তাজবীর পরবর্তীতে সাহসী সাংবাদিকতায়, সম্পাদনায় এবং সংগঠক রুপে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সম্মাননা স্বারক গ্রহণ করেছেন তিনি। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতাও করছেন তিনি।
নটরডেম কলেজে স্টুডেন্টস অব দ্য ইয়ার (অনারেবল ম্যানসন) প্রাপ্ত হয়ে তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট হতে সন্মাননা গ্রহণ করেন তিনি। নটরডেম কলেজের সহ শিক্ষা কার্যক্রমের একটি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি, তার নেতৃত্বে টানা ১০ বছর ক্লাবটি আয়োজন করেছে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি। যেখানে ১০০টি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে সারা বছর তাদের সেলফ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে মোঃ তাজবীর হোসাইন সজীব।
নয়া শতাব্দী/এমএইচআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ