ই-কমার্স এক্সপ্রেস বাংলাদেশের (ইবি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘উদ্যোক্তা মিলন মেলা’। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কবিতা ক্যাফেতে বসে উদ্যোক্তাদের এই মিলন মেলা। দিনব্যাপী জমজমাট আয়োজনে প্রায় শ’ খানেক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তার পদচারণায় মুখরিত হয়েছে কবিতা ক্যাফে।
ইবির এডমিন ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রুনা আহমাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে সেরা ছয় নারী উদ্যোক্তাকে ‘সেরা উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০২১’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘ই-কমার্স এক্সপ্রেস বাংলাদেশ’ গ্রুপটি নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে অনেক দিন যাবত কাজ করে আসছে। গ্রুপের প্রায় আড়াই হাজার সদস্য নিজেকে স্বাবলম্বী করার তাগিদে ঘরে বসে ঘর সংসার সামলানোর পাশাপাশি সাধ্য অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য তৈরি অথবা সংগ্রহ করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
ঘরে বসে নিজেদের তৈরি দেশীয় পণ্য ও সংগ্রহ করা নানা রকম পণ্য নিয়ে অনলাইনে কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক নারীরা। নারী জীবনে স্বনির্ভরতা কতখানি দরকার তা সব নারীরাই উপলব্ধি করেন। কিন্তু অনেকই ঘর সংসার সামলে স্বনির্ভরতা তৈরি করার সুযোগ পায় না। এজন্য সাপোর্ট দরকার। সেই সাপোর্ট দেয়ার পাশাপাশি ই কমার্সের বেসিক স্কিল ডেভেলপ করার কাজ করছে 'ই-কমার্স এক্সপ্রেস বাংলাদেশ - ইবি গ্রুপ।
ইবির উদ্যোগে আয়োজিত উদ্যোক্তা মিলন মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান ব্যাবস্থাপক শিশু সাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উইমেন নিউজের সম্পাদক আইরিন নিয়াজী মান্না, নূরজাহান রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান তাইফুর হাসান গালিব এবং অনিকা প্রিন্টিং প্রেস এন্ড প্যাকেজিংয়ের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, নারীদের স্বনির্ভরতা দরকার। আর সেই স্বনির্ভরতা তৈরির ক্ষেত্রে ‘ই কমার্স এক্সপ্রেস বাংলাদেশ-ইবির’ কাজ ও পদক্ষেপ প্রশংসা যোগ্য।
উদ্যোক্তাদের নিজের একটা পরিচিতি তৈরি ও ই কমার্সের বেসিক স্কিল ডেভেলপ করতে এই গ্রুপটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। গ্রুপের স্লোগান হচ্ছে- আমি ভোক্তা, আমিই উদ্যোক্তা।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন হয় বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে। অতিথিদের বক্তব্য ও উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান এর মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয় বেলা ৪.০০ টায়।
উদ্যোক্তাদের এই আয়োজনে গ্রুপের এডভাইজার আহমাদ স্বাধীন বলেন, নারীদের এই স্বনির্ভরতা শুধু নিজেদের উন্নতি নয়, বরং সমগ্র দেশের অর্থনীতির উন্নতি। দেশীয় পণ্যের এই কেনাবেচার মাধ্যমে নিজের ও দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন নারী উদ্যোক্তাগণ।
এদিন সেরা ছয় নারী উদ্যোক্তার সম্মাননা প্রাপ্তি ও উপস্থিত সকল উদ্যোক্তাদের বাঁধভাঙা আনন্দে মুখর ছিলো কাটাবনের কবিতা ক্যাফের মিলনায়তন।
লোগো স্পন্সর হিসেবে এই প্রোগ্রামের আয়োজন সহযোগী ছিল ‘ই-সওদা’। ই-সওদার কো ফাউন্ডার সম্রাট জানান, ই-সওদা (হোম ডেলিভারি সার্ভিস) এর মাধ্যমে মাত্র ১০/- টাকা ডেলিভারি চার্জে মুদি-মনোহরি, ফাস্টফুড, ঔষধপত্র, মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ যে কোন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হোম ডেলিভারি করে থাকি আমরা।
এছাড়াও আমাদের রয়েছে ‘কার রেন্ট’ সার্ভিস। যার মাধ্যমে কাস্টমারকে আমরা প্রাইভেট কার, ট্রাক, পিকাপ, কভার্ড ভ্যান, বাস-মিনিবাস ভাড়া করতে সহযোগিতা করে থাকি।
এছাড়াও আমাদের রয়েছে ‘শিফটিং সলিউশন’ সার্ভিস। যার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের বাসাবাড়ি বা অফিস পাল্টানোর ঝামেলা থেকে সলিউশন দিয়ে থাকি। দক্ষ লেবার ও পরিবহন সার্ভিসের মাধ্যমে যত্ন সহকারে ক্লায়েন্টের বাসা বা অফিসের সমস্ত মালামাল খুলে নিয়ে আবার নতুন ঠিকানায় সেটাপ করে দেয়া হয়। ক্লায়েন্টের হাতের একটি স্পর্শ ছাড়াই আপনি বাসা বা অফিস পাল্টানোর কাজটি সারতে পারেন ই-সওদা শিফটিং সলিউশন এর মাধ্যমে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ