কর্মক্ষেত্র আমাদের জীবনের দ্বিতীয় বাড়ি। বাড়ির পর সব থেকে বেশি সময় আমরা কর্মক্ষেত্রেই কাটাই। কিন্তু বাড়ির মতো নির্ভরতার আশ্রয় অফিসে মেলে না। এটা একটা প্রতিযোগিতার জায়গা। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাড়ে রাজনীতি, ডেডলাইন, বস আর ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে টানপোড়েন।
নানা কারণে মানুষ কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ অনুভব করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য। তাই কর্মক্ষেত্রে চাপ অনুভব করলে যা করা প্রয়োজনীয় দেখে নিন-
মেডিটেশন : মেডিটেশন যে কোনও ধরনের চাপ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু কাজের ফাঁকে মেডিটেশন করার সময় নেই। কিন্তু মানসিক চাপ নিয়ে আপনি মন দিয়ে কাজও করতে পারছেন না। এই সময় একটা বড় জোড়ে নিঃশ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন।
পানি পান করা : নানা মানসিক কারণে কাজের ক্ষেত্রেও প্যানিক অ্যাটাক আসে। কিন্তু উদ্বেগ তৈরি হয়। এই সময় এক গ্লাস পানি পান করুন। দেখবেন এতে অনেক স্বস্তি পাচ্ছেন।
মাঝে মাঝে হাঁটুন : একটানা বসে কাজ করলে অনেক সময় মস্তিষ্কের ওপর বেশি চাপ পড়ে যায়। তাই একটানা বসে কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে বিরতি নিন। এই বিরতিতে করিডরে হেঁটে নিন কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানো : মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গেলে ঘুম খুব জরুরি। রাতে যেন গভীর ঘুম হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পরদিন সকালে কাজে ব্যাঘাত ঘটে। শরীরে ক্লান্তি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা হয় না। তাই ঘুম খুব দরকার।
খাওয়া দাওয়া : সারাদিন আপনি কি খাচ্ছেন সেটাও এই ক্ষেত্রে খুব জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গেলে স্বাস্থ্যকর ডায়েটও করতে হবে। অফিসের লাঞ্চে এমন খাবার খাবেন না যা স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। এতে মানসিক চাপ কমবে।
ইনডোর প্ল্যান্ট : অফিসের মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস কমাতে আপনার বন্ধু হতে পারে গাছ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অফিসের ডেস্কে গাছ আপনার মনে পজিটিভি প্রভাব বিস্তার করে টেনশন কমাতে অনেক সাহায্য করবে। জাপানে ৬৩ জন কর্মীর ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে যে ডেস্কে কোনও ইনডোর প্ল্যান্ট বসানো থাকলে তা স্ট্রেস রিলিফের কাজ করে। টানা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমরা মানসিক ভাবে অবসন্ন হয়ে পড়ি। একটুখানি সবুজ দেখতে পেলে মন উত্ফুল্ল হয়ে ওঠে। তার প্রভাব আমাদের কাজেও পড়ে। তাই কোনও ইনডোর প্ল্যাল্ট আপনার অফিস ডেস্কে অবশ্যই বসান।
নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ