ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফিসে যে কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন

প্রকাশনার সময়: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ১৪:১৪

জীবনযাপনের জন্য আপনাকে কর্ম করতে হবে। আর এই কর্ম হতে পারে নিজের ব্যবসা করা আবার হতে পারে কর্পোরেট অফিসে চাকরি করা। আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে ঢুকে যান তাহলে আপনার আচরণে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। পেশাগত আচরণ প্রদর্শন করতে হবে। অফিসে কাজ করতে গেলে অনেক মানুষের সাথেই পরিচয় হয়। একেক মানুষ একেক রকম। তাই কলিগদের সাথে পেশাগত আচরণ বজায় রাখা জরুরি। এর মাধ্যমে সেখানে নিজের স্ট্যাটাস ও সম্মান বজায় থাকে। কর্মক্ষেত্রকে নিজের পছন্দের জায়গা করে তুলতে হবে, নিজের পেশাগত আচরণের মাধ্যমেই।

জেনে নিন অফিসে কোনো কাজগুলো করবেন না-

উচ্চস্বরে বা ন্যাকামী করে ফোনে কথা না বলা শ্রেয়

কর্মক্ষেত্র যেহেতু ব্যক্তিগত জায়গা নয় তাই সেখানে অনেক মানুষ থাকে। তাদের সামনে ফোনে আপনার বন্ধু বা পরিবারের কারো সাথে রাগ করে বা চিৎকার করে কথা বলবেন না। এরকম পরিবেশ তৈরি হতেই পারে কিন্তু তা শান্তভাবে সামলে নিতে হবে। কারণ আপনার এই ব্যক্তিগত বিষয় অফিসের অন্য কেউ না জানাই ভালো। আবার প্রিয় মানুষের সাথে অতিরিক্ত ন্যাকামি করে কথা বলাও বেশ অশোভন লাগে।

অন্যের জীবন নিয়ে কৌতূহল দেখাবেন না

পেশাদার সম্পর্ক পেশাদারিত্বে বজায় রাখুন। আপনার সহকর্মী অফিসের পরে কোথায় যায়, ছুটিতে কোথায় বেড়াতে তার ভালো লাগে-এটা জেনে আপনার কোনো লাভ নেই। কেউ যদি নিজ থেকে আগ্রহ করে এসব আপনাকে না বলে, তবে এ ধরনের কৌতূহল দেখানো বা তার ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলানো বিরক্তিকর আচরণ।

গসিপ করা থেকে দূরে থাকুন

কর্মক্ষেত্রে আপনার ম্যানেজার, কলিগ বা অন্য কাউকে নিয়ে গসিপ করা ঠিক নয়। এটি একটি নিচু মানসিকতার পরিচয়। সেইসঙ্গে আপনার সময়েরও যথেষ্ট অপচয় হয়। তাই অন্যকে নিয়ে গসিপ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। বরং নিজের বিবেকবোধ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করুন।

কাজের অসন্তুষ্টি নিয়ে কথা বলবেন না চাকরিটা একেবারেই ভালো লাগে না, কাজ করতে করতে এক্কেবারে ক্লান্ত, কাজ ছেড়ে দিতে পারলে জীবনটা বাঁচে- এ ধরনের কর্মজনিত ক্লান্তি আর হতাশার কথা বলেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এসব কথা বন্ধুমহলের জন্য জমিয়ে রাখুন, অফিসের জন্য নয়। কারণ এতে আপনার দুর্বলতা নজরে আসে। আপনি নির্জীব এমন একটা ইম্প্রেসন তৈরি হয়।

অসুস্থ থাকলে অফিস যাবেন না অসুস্থ থাকলে অফিসে যাবেন না। ছুটি নিন। কারণ শরীরের ওপর চাপ সৃষ্টি করা ঠিক নয়। অসুস্থ থেকেও অফিসে আসা মানে এই নয় যে আপনি কাজের প্রতি প্রফেশনাল। বরং এটি ছোঁয়াচে হলে অন্যদের জন্যও বিপদের কারণ হতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন অফিসে থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় মেতে থাকা ঠিক নয়। অফিস আপনার কাজের জায়গা। কাজের সময় অফিসে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকা সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এটি আপনার কাজের অংশ হলে করতে পারেন। নয়তো কেবল বিরতি পেলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন।

অফিসে পরিপাটি হয়ে আসবেন এমন হতেই পারে আপনি সারারাত কোনো ভ্রমণে ছিলেন বা কোনো পার্টিতে ছিলেন, এজন্য রাতে ঘুম হয়নি। তাই সকালে নির্জীবভাবে অফিসে আসবেন না। এটি সবার কাছে আপনার ইমপ্রেশন খারাপ করে। তাই অফিসে ফ্রেশ এবং পরিপাটি হয়ে আসুন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঝে শুনে পোস্টিং/শেয়ারিং অফিসে প্রতিনিয়ত কে কী করছেন, দুপুরে কে কে একসঙ্গে খেয়েছেন বা কোথায় খেতে যাবেন, বিকেলে কোন জায়গায় বসে চা খান, আজকে অফিস শেষে কোথায় হ্যাংআউট করছেন, কাজের চাপে আপনার ঘুম আসছে-এ ধরনের পোস্ট, ছবি, সেলফি দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই হয়। এ ধরনের কোনো কিছু যে পোস্ট করবেন না, তা নয়; তবে ব্যাপারটি নিয়মিতভাবে করতে থাকলে আপনি কেবলই একজন বিরক্তিকর মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ