সাধারণত উন্নত ও নিরাপদ জীবনযাপন, পড়ালেখার মান, পরিবেশ, স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজের সুযোগ, পড়াশোনার সময় খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ প্রভৃতি সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে অস্ট্রেলিয়া পছন্দের অন্যতম শীর্ষ অবস্থান করছে। যাঁরা বিদেশে পড়তে চান, তাদের জন্য অস্ট্রেলিয়া দারুণ এক গন্তব্য। অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসাসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা অনেক ভালো। বৈষম্যহীন পরিবেশ ও মেধাভিত্তিক কাজের সুযোগ পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ায় । অস্ট্রেলিয়ান অ্যাওয়ার্ড বৃত্তির মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে এই বৃত্তির আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১ মে পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়ান অ্যাওয়ার্ড বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পান। টিউশন ফি, যাতায়াত খরচ, এককালীন ভাতা, মাসিক জীবনযাত্রা ভাতা, স্বাস্থ্যবীমা সুবিধাসহ সবই বৃত্তির আওতাভুক্ত।
এই বৃত্তির জন্য ক্যাডার অফিসার, সেন্ট্রাল ব্যাংকের অফিসার, জুডিশিয়াল অফিসার, এনজিও কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উদ্যোক্তা বা চাকুরে, গবেষণা সংস্থা, গণমাধ্যমকর্মীদের আবেদন করতে উৎসাহ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয় দেওয়া থাকে, সেসব বিষয়েই আবেদন করা যায়। আইইএলটিএস স্কোরের ক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য গড়ে ৬.৫ ও নারীদের জন্য ৬.০ গ্রহণ করা হয়। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
আবেদনের সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে চান, কী বিষয় পড়বেন, দেশের উন্নয়নে আপনার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কীভাবে কাজে আসবে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয়গুলো আবেদনের সময় লিখতে হবে। ‘ডেভেলপমেন্ট ইমপ্যাক্ট প্ল্যান’ হিসেবে আপনার ভাবনা যুক্ত করতে হবে। দুটি রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ