বিএনপি দলীয় এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, গত দশ বছরে দেশে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। গত ১০ বছরে কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে দেশের ১০টি কোম্পানি নব্বই হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এই টাকা কারো বাপের না। এই টাকা আমার-আপনার-দেশের।
রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সারাদেশে বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের পতনই সব সমস্যার সমাধান। অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই বাধ্য করা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনেই নির্বাচন দিতে। সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে সারাদেশে ১০টি আসনও পাবে না আওয়ামী লীগ।
বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ উল্লেখ করে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, কথা খুব পরিষ্কার। আমরা বহু গুম খুন ও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এই প্রতিটি ঘটনার বিচার করা হবে। আজকেও ভোলায় বিদ্যুতের বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদের সমাবেশে গুলি করা হয়েছে। অসংখ্য ভাইদের রক্ত ঝড়েছে। সেই রক্তের কসম খেয়ে বলছি- প্রতিটি রক্ত ফোটার জবাব নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে এই সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান রানা।
এ সময় উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলমের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটা এমপিকে সামলাতে পারে না- সে দেশের নির্বাচন করবে কেমন করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করে লাভ নেই। কারণ বিএনপি এখন আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
এছাড়াও বক্তব্য দেন- উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম এনায়েত উল্লাহ কালাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, ডা. মোফাখার হোসেন রানা, আখতারুল আলম ফারুক, অ্যাড. ফাত্তাহ খান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, উত্তর জেলা যুবদল সভাপতি শামসুল হক শামছু, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সভাপতি শহিদুল আমিন খসরু, দক্ষিণ ছেলা কৃষক দলের জেলা আহবায়ক এনামুল হক আকন্দ লিটন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রানা, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ সালমান ডুনন, দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের জেলা সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ