২৪ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিল ডাকা এটি দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান। বলেন, ‘ওইদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেদিন সারা দেশে সমাবেশ ডাকা আমি মনে করি এটি দুরভিসন্ধিমূলক।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। বিএনপি তাদের সমাবেশে ক্রমাগত সরকারকে পদত্যাগ করতে বলছে। কিন্তু এখন তাদের নিজস্ব সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। এতেই বোঝা যায় বিএনপির রাজনীতিবিদরা কতটা অগণতান্ত্রিক।
তিনি বলেন, সরকার বা সংসদ তাদের এই পদত্যাগে প্রভাবিত হবে না।
তিনি আরও বলেন, সাতজন সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদের কিছু হবে না। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে উপনির্বাচন হবে। আর তাদের ১০ দফা দাবি গতানুগতিক। এগুলো বহুদিন ধরে বলে আসছে।
গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলে তারা বড়জোড় ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেমাঠে গরুর হাট বসে। তারা সে মাঠই পছন্দ করেছে। তাদের আরও অনেক বিকল্প বড় মাঠের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের গরুর বাজারের মাঠই পছন্দ। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেটার আয়োতন হলো ৫০ হাজার বর্গফুট। ফলে সেমাঠে কতো মানুষ ধরে সেটা সহজে অনুমেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যতটা ম্যানেজ করতে পেরেছিল তার চেয়ে বেশি লোক আমাদের ছোট আকারের, স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এছাড়া আমাদের থানা সম্মেলনেও এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়।
মন্ত্রী বলেন, শনিবার মানুষ শঙ্কার মধ্যে ছিলো তারা আবার অগ্নিসন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান এবং সরকারিদল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে সরব উপস্থিতি কারণে তারা যেভাবে করতে চেয়েছিলো সেভাবে করতে পারে নাই। অথ্যাৎ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য যেভাবে করতে চেয়েছিলো সেভাবে করতে পারে নাই। এরপরও তারা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করেছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের প্রস্তাবিত বড় ভেন্যু প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে তারা তাদের অনুষ্ঠানে মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এছাড়া বিএনপির ১০ দফা দাবি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আরেকটি চক্রান্ত।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ