বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য বা হস্তক্ষেপ করবেন না। নির্বাচনী জালিয়াতি শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও হয়। যুক্তরাষ্ট্রেও একটি দল আছে, যারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে।’
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রথম প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের নির্বাচন ও আইনের শাসন নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট না করার আহ্বান জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের প্রতি।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাস শুটিংয়ের ঘটনা সাধারণ। প্রতিদিনই গুলিতে দুই, তিন বা পাঁচজন নিহত হচ্ছে। আর আপনি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা কারও হুকুম শুনবেন না। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে তাদের ভূমিকা দেখেছি। এতসব ঘটনা সত্ত্বেও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই।’
তিনি আরও বলেন যে, এ ধরনের মন্তব্য করে কারও কোনো লাভ হবে না। এগুলো সুসম্পর্কের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাস ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে উদ্বিগ্ন এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন যে তারা সরকারি কর্তৃপক্ষকে সহিংসতার এই প্রতিবেদনগুলো তদন্ত করতে এবং মত প্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে রক্ষা করতে উৎসাহিত করে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ