রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মকবুল (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান রুমি জানান, বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে রাস্তায় শটগানের গুলিতে আহত হয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক। তখন তাকে কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা। তার নাম মকবুল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহত অবস্থায় ওই যুবককে কয়েকজন হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। তার নাম মকবুল বলে জানা গেছে। বিস্তারিত ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসাদের মধ্যে ২১ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন, রবিন খান, আনোয়ার ইকবাল (বোরহান উদ্দিন কলেজ ছাত্রদল), মো. খোকন, মনির হোসেন, মো রাশেদ (পল্টন থানা যুবদল), ইয়াসির আরাফাত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, জসীমউদ্দীন হল), সুমন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল), জহির হাসান (ছাত্রদল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়), শামীম (রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. হানিফ, হৃদয় (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মকবুল হোসেন (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), ফারহান আরিফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুজিব হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), নূরনবী (শাহবাগ থানা যুবদল), সুলতান আহমেদ (শাহ আলী থানা যুবদল), মনির (শাহবাগ থানার যুবদল), আমিনুল ইসলাম (শেরেবাংলা নগর থানা যুবদল), আশরাফুল ইসলাম (গুলশান থানা ছাত্রদল), বিপ্লব হাওলাদার (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), আসাদুজ্জামান (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মেহেদী হাসান নয়ন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ