সাড়ে চার বছর পর আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অুনষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী নেতারা এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তাদের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠছে গুলিস্তান পার্টি অফিস থেকে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়। সরগরম হয়েছে উঠেছে মধুর ক্যান্টিন। নেতাকর্মীরা নিজ নিজ জায়গা থেকে শুরু করেছেন লবিং-তদবির।
গত ৩ ডিসেম্বের শেষ হয়েছে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার শেষ দিন। জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ৩০তম সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার আশরাফুল ইসলাম টিটন নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৫৪ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য ৯৬ জন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।’
এবারের ছাত্রলীগের সম্মেলনে মনোনয়নপত্রের মূল্য ধরা হয়েছিল ৩ হাজার টাকা। এ হিসেবে এবার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে ছাত্রলীগের আয় ৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
কীভাবে নেতৃত্ব বাছাই করা হবে জানতে চাইলে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাছে যে মনোনয়নপত্রগুলো এসেছে আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে বৈধ মনোনয়নপত্রগুলো ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেবো। সেখান থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব বাছাই করবেন।’
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক সক্ষমতাসম্পন্ন, পরিবারের জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকা, ‘ক্লিন ইমেজ’, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, নিয়মিত ছাত্র, শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য, অতীতে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা এবং করোনাকালে যারা মানবিক কাজে সক্রিয় ছিলেন তারাই আগামীর নেতৃত্বে আসবেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এবং ৩০তম সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ইয়াজ আল রিয়াদ নয়া শতাব্দীকে বলনে, বিভিন্ন সংকট এবং সমস্যা মোকাবিলা করতে গিয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় আমরা এমন নেতৃত্ব চাই না। সামনে জাতীয় নির্বাচন, আমরা অতীতে দেখেছি নির্বাচন ঘিরে বিরোধী পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করেন। সেখানে ছাত্রলীগকে কিছু ভূমিকা নিতে হয় যেটি অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। তাই এসব বিষয়ে যারা পারঙ্গম, ছাত্রলীগকে ইতিবাচক ধারায় পরিচালিত করতে পারবে— আমরা চাই এমন কেউই নেতৃত্বে আসুক।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের সময় গা-ঢাকা দেয়া অনেক ছাত্রলীগ নেতা এবার সংগঠনের নেতৃত্ব পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে ঢাবির ১৮টি হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, অমর একুশে হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয়েছিল। বাকি হলগুলোতে নেতাকর্মী সংকটে কমিটি দেয়া যায়নি।
আঞ্চলিকতার প্রাধান্য: ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ে প্রায়ই আঞ্চলিকতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এবারও সে রকমটা হতে পারে বলে মনে করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল থেকে শীর্ষ নেতৃত্বে একজন আসতে পারেন বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ে আঞ্চলিকতাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তারা। জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘দেশে অনেক অঞ্চল আছে যেখানটা অবহেলিত। কোনো শীর্ষ নেতা নেই। সেসব অঞ্চল থেকে কেউ ছাত্রলীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে সেসব অঞ্চলের রাজনীতিটা একটু অ্যাকটিভ হয়।’
যদিও গত কয়েক বছরে নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চল থেকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। এরমধ্যে বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গ, খুলনা, এবং ময়মনসিংহ উল্লেখযোগ্য।
নারী নেতৃত্বের সম্ভাবনা: বাংলাদেশের জন্মেরও আগে জন্ম নেয়া ছাত্রলীগের ইতিহাসে কখনও শীর্ষ দুই পদে নারী নেতৃত্ব দেখা যায়নি। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মারুফা আক্তার পপি। তিনি দায়িত্বের সঙ্গে সংগঠন পরিচালনা করলে পরবর্তীতে তাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করারও দাবি ওঠে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। গত সম্মেলনেও আলোচনায় ছিলেন একাধিক নারী প্রার্থী। তাদের কাউকেও নির্বাচন করা হয়নি। এবারও ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে আলোচনায় রয়েছেন একাধিক নারী। যার মধ্যে রয়েছেন সহসভাপতি তিলোত্তমা সিকদার ও ফরিদা পারভীন, উপ মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক রনক জাহান রাইন।
নেতৃত্ব যেতে পারে ঢাবির বাইরে : সবশেষ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের। তারা ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্য থেকেই দেয়া হচ্ছে। তবে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের জোর দাবি উঠলেও তা হয়নি। ৩০তম সম্মেলন ঘিরেও জোর আলোচনা চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে নেতৃত্ব নির্বাচনের।
জানতে চাইলে ৩০তম সম্মেলনের এক নির্বাচন কমিশনার নয়া শতাব্দীকে জানান, ‘ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে আমি মনে করি না ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠনের শীর্ষ পদ নির্বাচনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেয়া উচিত নয়। এটি উন্মুক্ত থাকা দরকার। যাতে যোগ্য যে কেউই নির্বাচিত হতে পারে।’
কেমন নেতৃত্ব চান জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ৩০তম সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘যারা বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যারা আগুন সন্ত্রাস চালাতে চায় সেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে যারা ছাত্রজনতাকে নিয়ে দুর্বার রাজনৈতিক আন্দোলন, সামাজিক আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন পরিচালিত করতে পারবে— এমন কাউকেই নেতৃত্বে চাই।
নেতৃত্বে এলে ছাত্রলীগ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী— এমন প্রশ্নে ছাত্রলীগের বর্তমান সহ-সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হামজা রহমান অন্তর নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের সংগঠন। এই সংগঠনের নেতৃত্ব পাওয়া সৌভাগ্যের হিসেবে গণ্য হলেও, কর্মী হওয়াটা অনেক বেশি গর্বের। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আমার ১৪ বছরের পথচলায় বিভিন্ন পর্যায়ে আমাকে কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য এই সংগঠনের কাছে আমি ঋণী। নেতৃত্ব পেলে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বাড়তে পারে বয়স : গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের বয়সের সীমারেখা ২৭ হলেও নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় প্রায়ই এ বিষয়টি ছাড় দেয় হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ বছর বাড়িয়ে ২৮ ঘোষণা করলেও পরে সেটি আরও ১ বছর বাড়িয়ে অনূর্ধ্ব ২৯ বছর বয়সি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। করোনা প্রকোপের কারণে দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের সম্মেলনে না হওয়ায় এবারও বয়সসীমা ২৯ থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
চার কমিটি একসঙ্গে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কমিটি একসঙ্গে ঘোষণা করা হতে পারে জানা গেছে। গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগ দিয়েও এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শীর্ষ পদে আলোচনায় যারা : চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, সহ সম্পাদক মো. আনফাল সরকার পমন।
উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পল্লব কুমার বর্মন।
বরিশাল বিভাগ থেকে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, কর্মসংস্থানবিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়, সহ-সম্পাদক হামজা রহমান অন্তর।
খুলনা বিভাগ থেকে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন, পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের ও উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক খন্দকার হাবিব আহসান।
ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান, সহ-সভাপতি খায়রুল হাসান আকন্দ, এসএম হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, উপ- প্রচারসম্পাদক সুরাপ মিয়া সোহাগ, সহ-সম্পাদক এসএম রাকিব সিরাজী, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপ সম্পাদক রশিদ শাহরিয়ার উদয় ও স্কুলছাত্রবিষয়ক উপসম্পাদক শাকের আহমেদ আল আমিন।
ফরিদপুর থেকে আলোচনায় আছেন সহ-সভাপতি শেখ সাগর আহমেদ, কর্মসংস্থান সম্পাদক রনি মোহাম্মদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, ঢাবির মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহীদুল হক শিশির।
ঢাকা অঞ্চলে আলোচনায় রয়েছেন সার্জেন্ট জহরুল হক হলের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল্লাহ আব্বাসী অনন্ত, এফ রহমান হলের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ দফতরবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাহিম, গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক শামীম শেখ তুর্জ, শহীদুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক মো. ইরফানুল হাই সৌরভ, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. নিয়ামত উল্লাহ তপন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রিক্তিক চক্রবর্তী প্রমুখ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আফম বাহাউদ্দিন নাছিম নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, নিয়মতি ছাত্র, শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা সবদিক মিলিয়ে যারা যোগ্য তাদেরই নেতৃত্বে নির্বাচন করা হবে।’ ঢাবির বাইরে থেকে নেতৃত্ব নির্বাচন হতে পারে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগে আসলে ঢাবি কোটা বলতে কোনো বিষয় নেই। যারা যোগ্য তাদেরই নির্বাচন করা হবে।’
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ