আজ ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মদিন। গত ছয় বছর ধরে এই দিন উদযাপন থেকে বিরত আছে দলটি। ব্যতিক্রম হবে না এবারও। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫ আগস্ট দলীয় কোনো কর্মসূচি নেই। পর দিন দোয়া মাহফিলের আয়োজন থাকবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে কেক টাকা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নিয়ে পরিবার থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন না করার জন্য বিএনপির প্রতি বরাবরই আবেদন জানিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। এর পরও ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত প্রতি বছরই কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন খালেদা জিয়া।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এক দিন পিছিয়ে গুলশান কার্যালয়ে কেক কাটা হয়।
এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে বিএনপির দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক।
এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়ার আরোগ্য, দীর্ঘায়ু ও মুক্তি কামনা এবং করোনাসহ অন্যান্য রোগে মৃত্যুবরণকারী দেশবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের আত্মার মাগফেরাত ও অসুস্থদের আশু সুস্থতা কামনায় আগামী ১৬ আগস্ট, সোমবার দেশব্যাপী দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনের অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিনা রহমান শনিবার রাতে বলেন, রোববার কোনো উদযাপন নেই। ম্যাডাম তো অসুস্থ। আমরা ১৬ তারিখে ম্যাডামের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল রেখেছি।
১৬ তারিখ কি কেক কাটা হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কিছু না, আমরা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছি আর কি।
খালেদা জিয়া কি তার বাসায় জন্মদিন উদযাপন করবেন—এ প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সেটা তার পারিবারিক বিষয়, তার পরিবার বলতে পারবে সেটা। এমনিও তার কাছে যাওয়াটা তো লিমিটেড।
১৫ আগস্ট কর্মসুচি দিয়ে আবার সংশোধন করে ১৭ আগস্ট কর্মসুচি রেখেছেন স্বেচ্ছাসেবক দল।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সই করা একটি প্রেস নোটে জানানো হয়, ১৫ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে জেলা ও মহানগরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
পরবর্তীতে শনিবার বিকেল ৫.২০ মিনিটে আরেকটি প্রেস নোটে সংশোধনী বার্তায় বলেন, ১৫ তারিখের কর্মসুচিটি ১৭ আগস্ট বিকেল ৪টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি চেয়ার পারসনের জন্মদিন নিয়ে ধোঁয়াশা দীর্ঘ দিনের। তার একাধিক জন্মদিনের খোঁজ পাওয়া যায়। সঠিক তারিখ নির্ধারণে আদালতে একটি রিটও করা হয়। এতে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট।
সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি।
খালেদা জিয়া পাঁচটি জন্মদিনের তারিখের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী তথা জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন।
২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে একটি মামলা করেন।
নয়া শতাব্দী/এসএমএবারও ১৫ আগস্ট জন্মদিন করছেন না খালেদা জিয়া
আজ ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মদিন। গত ছয় বছর ধরে এই দিন উদযাপন থেকে বিরত আছে দলটি।
ব্যতিক্রম হবে না এবারও। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫ আগস্ট দলীয় কোনো কর্মসূচি নেই। পর দিন দোয়া মাহফিলের আয়োজন থাকবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে কেক টাকা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নিয়ে পরিবার থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন না করার জন্য বিএনপির প্রতি বরাবরই আবেদন জানিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। এর পরও ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত প্রতি বছরই কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন খালেদা জিয়া।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এক দিন পিছিয়ে গুলশান কার্যালয়ে কেক কাটা হয়।
এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে বিএনপির দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক।
এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়ার আরোগ্য, দীর্ঘায়ু ও মুক্তি কামনা এবং করোনাসহ অন্যান্য রোগে মৃত্যুবরণকারী দেশবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের আত্মার মাগফেরাত ও অসুস্থদের আশু সুস্থতা কামনায় আগামী ১৬ আগস্ট, সোমবার দেশব্যাপী দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনের অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিনা রহমান শনিবার রাতে বলেন, রোববার কোনো উদযাপন নেই। ম্যাডাম তো অসুস্থ। আমরা ১৬ তারিখে ম্যাডামের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল রেখেছি।
১৬ তারিখ কি কেক কাটা হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কিছু না, আমরা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছি আর কি।
খালেদা জিয়া কি তার বাসায় জন্মদিন উদযাপন করবেন—এ প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সেটা তার পারিবারিক বিষয়, তার পরিবার বলতে পারবে সেটা। এমনিও তার কাছে যাওয়াটা তো লিমিটেড।
১৫ আগস্ট কর্মসুচি দিয়ে আবার সংশোধন করে ১৭ আগস্ট কর্মসুচি রেখেছেন স্বেচ্ছাসেবক দল।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সই করা একটি প্রেস নোটে জানানো হয়, ১৫ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে জেলা ও মহানগরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
পরবর্তীতে শনিবার বিকেল ৫.২০ মিনিটে আরেকটি প্রেস নোটে সংশোধনী বার্তায় বলেন, ১৫ তারিখের কর্মসুচিটি ১৭ আগস্ট বিকেল ৪টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি চেয়ার পারসনের জন্মদিন নিয়ে ধোঁয়াশা দীর্ঘ দিনের। তার একাধিক জন্মদিনের খোঁজ পাওয়া যায়। সঠিক তারিখ নির্ধারণে আদালতে একটি রিটও করা হয়। এতে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট।
সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি।
খালেদা জিয়া পাঁচটি জন্মদিনের তারিখের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী তথা জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন।
২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে একটি মামলা করেন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ