যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য সর্বোচ্চ আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু ২৩ এভিনিউর আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি বলেন, শেখ ফজলুল হক মনি আমাদের কাছে বিশ্বস্ততার প্রতীক। ১৫ আগস্টের প্রথম শহীদ হিসেবে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে তিনি আনুগত্য ও বীরত্বের অবিনশ্বর উদাহরণ রেখে গেছেন।’
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, শেখ মনির জন্মদিন আমার কাছে ব্যক্তিগত পর্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। ব্যক্তিগতভাবে আমার বাবা শেখ মনিকে আমি খুব কম পেয়েছি। মাত্র ৫ বছর, তারমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা, লেখালেখি, রাজনীতি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠন সবমিলিয়ে বাবা ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাতেন। কিন্তু যতটুকু সময় পেয়েছি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি হিসেবে তা চিরভাস্বর।
বাবার স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, বাংলার বাণীতে বাবার ব্যক্তিগত লাইব্রেরি দেখে অনুমান করা যায় যে, বাবা জ্ঞান চর্চা করতে ভালবাসতেন এবং একজন রুচিশীল পাঠক ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ তার পাঠাগার দেখলে বুঝা যায়। বাবা বাংলাদেশে একটা জ্ঞানভিত্তিক প্রগতিশীল, বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টিতে আগ্রহী ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাবার যেই বিষয়টা আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দেয়, সেটা হলো বাবার কর্ম ও বাবার মমত্ববোধ। তিনি আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ছিলেন না, নেতা-কর্মীদের প্রতি ছিল তার অপরিসীম দরদ। একজন কর্মী মারা যাওয়ায় আমি বাবাকে শিশুর মতো কাঁদতে দেখেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গত তিন বছর যে মানবিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের আন্দোলন করছে সেটা সফল এবং সার্থক সমাজনীতি প্রতিষ্ঠার একটা বড় ধাপ। তাই এই বিজয়ের মাসে অঙ্গীকার করতে চাই যে, আমরা জনগণের পাশে থাকার এই মানবিক এবং সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রাখব।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ