ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় দুই মহানগর ছাত্রলীগের এই যৌথ সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ লেখক ভট্রাচার্য।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটাই কি ছাত্রলীগ! কোনো শৃঙ্খলা নেই! পোস্টার নামাতে বলছি, নামায় না, স্লোগান থামায় না! এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না।’
কাদের বলেন, সব নেতা, তাহলে কর্মী কোথায়! এত নেতা স্টেজে, কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ, শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ না। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে। খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে!
এ সময় কমিটির সদস্য ছাড়া সবাইকে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রেসিডিয়াম, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক সময়ের অভাবে বক্তৃতা করতে পারেনি। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না।
তিনি আরও বলেন, এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আজকে অঙ্গীকার।
কারা নির্যাতিত নেতা, আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বক্তৃতা দিতে পারেননি। আমন্ত্রিত অনেকেই বক্তৃতা দিতে পারেননি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন? একটু একটু করে বলতে পারলো না! আপনারা দুজনে ১ ঘণ্টা শেষ করলেন। মনে নেই, আজ শুক্রবার! লেখকের না হয় মনে নেই, জয়ের কি মনে ছিল না! এটা কোন ছাত্রলীগ, বিস্ময় প্রকাশ করেন কাদের।
কর্মীদের স্লোগানে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, যার নামে স্লোগান হবে তাকে পদ দেওয়া হবে না। নেত্রীকে বলে দেবো।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ