আদালতের আদেশ ভঙ্গের অভিযোগে এনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দলটির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে এই মামলা করেন তিনি।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জিয়াউল হক মৃধা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিপ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, জাপা (রওশন পন্থি) নেতা এম গোফরান প্রমুখ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিয়াউল হক মৃধা বলেন, জি এম কাদেরের সমর্থিত নেতাকর্মীরা আমাদের ওপরে যেকোনো সময় হামলা করতে পারে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নিরাপত্তার জন্য আমরা আদালত ও সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জি এম কাদেরের লোকজন রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। এর পেছনে জিএম কাদেরের হস্তক্ষেপ আছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজপথে অবস্থান নেয়া মানে তারা আইন-আদালত মানেন না, আদালত অবমাননা করছেন। যারা আদালত মানে না তারা যে কোন সময় যে কোন কাজ করতে পারে।
জাতীয় পার্টির সাবেক এই এমপি বলেন, জিএম কাদের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের উপ-নেতার পদে রয়েছেন। তিনি কখনওই পারেন না আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে। আদালত অবমাননা করতে পারেন না।
জিয়াউল হক মৃধা আরো বলেন, জিএম কাদেরের লোকজন রাজপথে দাঁড়িয়ে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। অথচ মামলা করেছি আমি এবং মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ। তারা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে পারতেন। তা না করে আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, জাতীয় পার্টি পরিচালিত হচ্ছে দুটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। কোথায় আছে একটি দল বা সংগঠন দুটি গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত হবে? গঠনতন্ত্রে ২০-এর ১ (ক) যে ধারাটি- এর মাধ্যমে মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়। এই ধারার বলেই জিএম কাদের যা খুশি তাই করছেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ