ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এক দফার আন্দোলন শুরু ১০ ডিসেম্বর: ফখরুল

প্রকাশনার সময়: ২২ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৪০

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। তোমাদের বাপের রাজত্ব নাকি। ১০ তারিখে এইখানেই (নয়াপল্টনে) সমাবেশ হবে। এটা জনগণের ঘোষণা।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

এ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সারাফত আলী সপু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের কাজি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আমাদের দাবিও পরিষ্কার। বলেছি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে। আমরা বলেছি আমাদের শাওন, নুরে আলম, আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদে। আমরা বলেছি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, দেশের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে। এখনও তো আসল ঘোষণা দিইনি, আসল ঘোষণা আসবে ১০ তারিখে। সেদিন থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের জীবন নিয়ে খেলছে। আমাদের সাত জনকে হত্যা করেছে। আজকে ফেটে পড়তে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। জেগে উঠতে হবে। এমনি এমনি কেউ সরে না, সরাতে হবে। মানুষের বল দিয়ে শক্তি দিয়ে এদেরকে চলে যেতে বাধ্য করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সাতটি সমাবেশ করেছি, প্রতিটি সমাবেশে বাধা দিয়েছে। এরা কত বড় ভীরু, কাপুরুষ। গাড়ি বন্ধ করে দেয়, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়, লেগুনা বন্ধ করে দেয়। তাতে কী সমাবেশ বন্ধ করতে পেরেছে? তিন ঘণ্টার সমাবেশকে তোমরা তিন দিন বানিয়েছ।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা চাই না, এটা দেশের জন্য লজ্জার। কিন্তু এই লজ্জার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার। আমরা চাই না কোনো বাহিনী আবার সেই নিষেধাজ্ঞায় পড়ুক। পরিষ্কার করে বলতে চাই, জনগণের প্রতিপক্ষ কেউ হবেন না। জনগণকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না। জনগণ এই দেশের মালিক। শেখ হাসিনা নয়, আওয়ামী লীগও নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য। মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। এই বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য সেদিন আমরা যুদ্ধ করিনি। তাদেরকে অবৈধভাবে ক্ষমতা রাখার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আজকের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তাদের দুর্নীতি, অহংকার দিয়ে এ দেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। তাদের কথা শুনলে মনে হয়, তারা হচ্ছেন মালিক আমরা হচ্ছি চাকর-বাকর। তারা হচ্ছেন রাজা, এদেশের মানুষ হচ্ছে প্রজা।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ