সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পুত্র শাহাতা জারাব এরিকের নিরাপত্তা ও তার ভরণপোষণ নিয়ে শঙ্কিত এরশাদ ট্রাস্ট। তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ না থাকায় পাওয়া যাচ্ছে না মাসিক খরচের চাহিদাপত্রও। আর তাই ট্রাস্টের সুবিধাভোগি এরিকের মাসিক খরচের চাহিদাপত্র ও তার খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এবার তাকে পরিস্থিতি অবহিত করে চিঠি দিয়েছেন এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনূর রশীদ।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) এরিকের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেন এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। একই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, আইজিপি, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার গুলশান জোন বরাবর।
এবার এসবের বিস্তারিত জানিয়ে এরশাদ ট্রাস্টের সুবিধাভোগি শাহাতা জারাব এরিকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, তার সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের সুযোগ না থাকায় এবং তার মা বিদিশা সিদ্দিক কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় বরাবরের মতো মাসিক খরচের চাহিদাপত্র পাওয়া যায়নি বিধায়, চলতি মাসের ভরণপোষণের অর্থ সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এসব বিষয় সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য ট্রাস্ট কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রেসিডেন্টপার্কের তত্ত্বাবধায়ক অ্যাডভোকেট কাজী রুবায়েত হাসান দেখা সাক্ষাত ও খোঁজখবর নিতে ব্যর্থ হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, বরং বিদিশার প্ররোচনায় এরিক মিথ্যা বানোয়াট কল্প-কাহিনী সাজিয়ে ট্রাস্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বলে উল্লেখ করা হয়। এরিকের মা বিদিশা ট্রাস্ট সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। যা এরিক এরশাদ বাইরে থাকায় অবগত নন, বলে তাকে জানানো হয়। এসব ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় তার (এরিক এরশাদ) নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে ট্রাস্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শাহাতা জারাব এরিক এরশাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের বরাবর চিঠিও দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় আপনার সকল চাহিদা ও নিরাপত্তা বিষয় দায়িত্ব প্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ককে অবহিত করলে আমরা ট্রাস্ট থেকে যথাযথ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধ পরিকর।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ