আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শাসম পরশ বলেছেন, ‘বিএনপি প্রপাগান্ডার রাজনীতি করে। এ প্রপাগান্ডা আমাদের খণ্ডন করতে হবে। বিএনপির মিথ্যাকে আমাদের সত্য দিয়ে ঢাকতে হবে এবং এই সত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিএনপিকে আমরা পরাজিত করব।’
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে বক্তব্যকালে শেখ পরশ এ কথা বলেন।
এসময় সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শাসম পরশ যুবলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে ৩টি দাবি জানান।
শেখ পরশের ৩ দাবি :
পরশ বলেন, 'এই মহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আমি আমার যুবলীগের সহকর্মীদের কাছে ৩ দাবি রাখতে চাই। সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে, ভাই-ভাইয়ের সঙ্গে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে, নিঃশর্তভাবে ঐক্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যদি ঐক্য-সমন্বয় থাকে, তাহলে কোনো যুদ্ধপরাধী, রাজাকার, আল বদরের বংশধররা বাংলাদেশের মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করতে পারবে না।'
শেখ পরশ বলেন, ‘আরেকটা দাবি রাখতে চাই, যে উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের এ দেশকে দিয়েছেন, সেই অর্জনগুলোকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে এবং মানুষকে জ্ঞাত করতে হবে। বিএনপি প্রপাগান্ডার রাজনীতি করে। এ প্রপাগান্ডা আমাদের খণ্ডন করতে হবে। বিএনপির মিথ্যাকে আমাদের সত্য দিয়ে ঢাকতে হবে এবং এই সত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিএনপিকে আমরা পরাজিত করব।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘শেষ দাবি, প্রায় ১৪ বছর আমরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছি। আর ১৪ মাস ক্ষমতায় আছি। অনেক নিশ্চিন্তে আমরা ঘুমিয়েছিলাম। অনেক শান্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের রেখেছেন। আগামী ১৪ মাস বিনিদ্র রাত্রি কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আনতে হবে। চলেন এ ১৪ মাস আমরা পরিবার-বন্ধু ভুলে যেয়ে শুধু দুটি কথা মাথায় রাখি; বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকা মার্কা। ১৪ মাস পর যে বিজয় আমরা অর্জন করব, তারপরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দাঁড়াতে পারবে না।’
এর আগে, শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে এ সমাবেশের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে পেইন্টিং উপহার দেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তারপর যুবলীগের উত্তরীয় পরিয়ে দেন যুবলীগের মহিলা নেত্রীরা। পরে সুবর্ণজয়ন্তী লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর যুবলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ওই সমাবেশ। প্রথমে হয় সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান। এতে যুব মহাসমাবেশের মঞ্চ কাপিয়েছেন শিল্পী মমতাজ এমপি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই যুবলীগের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমানের ক্রমধারা বর্ণনা ও তার সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠান ছিল অসাধারণ।
এশিয়ার বৃহৎ এ যুব সংগঠনের উৎসবমুখর এই আয়োজনে সারাদেশ থেকে লাখ লাখ যুবক মিলিত হয়েছেন। যোগ দিয়েছেন হালের সেরা চিত্রনায়কদের অন্যতম রিয়াজ, ফেরদৌস ও চঞ্চল চৌধুরী।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ