রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে এ সমাবেশের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে পেইন্টিং উপহার দেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তারপর যুবলীগের উত্তরীয় পরিয়ে দেন যুবলীগের মহিলা নেত্রীরা।
পরে সুবর্ণজয়ন্তী লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর যুবলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হলেও এর মধ্যে দিয়ে সরকারবিরোধী দলগুলোকেও একটা সতর্কবার্তা দিতে চায় যুবলীগ। এজন্য আজকের সমাবেশে জনউপস্থিতির বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সমাবেশে ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম করতে চায় বলে জানিয়েছিল যুবলীগ।
সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে অনেক নেতা-কর্মী এসে উপস্থিত হয়েছেন এবং অনেকে এখনো আসছেন। ইতোমধ্যেই নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা। এছাড়াও ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা। বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন তারা।
এসব নেতা-কর্মীর মধ্যে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নিজ নিজ এলাকাভিত্তিক ভাগ হয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে ও তার আশপাশের এলাকায় স্লোগান দিয়ে শোডাউন করছেন উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীরা। তাদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে নানা রংয়ের প্ল্যাকার্ড, যুবলীগের সাংগঠনিক ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, গায়ে সম্মেলন উপলক্ষে তৈরি টি-শার্ট।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ