আওয়ামী লীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।এই মহাসমাবেশ দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সমাবেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুবলীগ নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন তিনি।
সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে অনেক নেতা-কর্মী এসে উপস্থিত হয়েছেন এবং অনেকে এখনো আসছেন। ইতোমধ্যেই নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা। এছাড়াও ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা। বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন তারা।
এসব নেতা-কর্মীর মধ্যে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নিজ নিজ এলাকাভিত্তিক ভাগ হয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে ও তার আশপাশের এলাকায় স্লোগান দিয়ে শোডাউন করছেন উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীরা। তাদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে নানা রংয়ের প্ল্যাকার্ড, যুবলীগের সাংগঠনিক ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, গায়ে সম্মেলন উপলক্ষে তৈরি টি-শার্ট।
এর আগে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বর্ণাঢ্য সাজে সেজেছে। লেকের পূর্বপ্রান্তে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। ব্যানার-ফেস্টুনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
এদিকে যুব মহাসমাবেশের সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। গত বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন।
যুব মহাসমাবেশকে সফল করতে মোট ১০টি উপ-কমিটি করার কথা জানানো হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট করা হয়েছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম যুব সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ দেশের যেকোনো সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পক্ষান্তরে বিএনপি-জামায়াত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ১১ নভেম্বরের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের যেকোনো নৈরাজ্য মোকাবিলা করতে রাজপথে থাকবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ