বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের মূলহোতা আওয়ামী লীগ। তাদের লোকেরাই এর সঙ্গে জড়িত। বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে কখনো ক্ষমতায় যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না। আমরা মুক্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, নির্বাচন করা দল।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছে আওয়ামী লীগ। ভাড়া করেও সভা-সমাবেশে লোক আনতে পারছে না আওয়ামী লীগ। এদিকে গণপরিবহন বন্ধ করেও বিএনপির সমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না সরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে এই সরকার। কায়দা করে এক দলীয় শাসন কায়েম করেছে তারা। অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়ার মতো সামর্থ নেই সরকারের।
তিনি আরও বলেন, এতোগুলো সমাবেশ হয়েছে, প্রত্যেকটায় আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপরে কী রকম অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, আমাদের দল থেকে কোনো রকমের কোনো সন্ত্রাস বা উসকানি দেওয়া হয়নি। তারাই উসকানি দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা এই চলমান আন্দোলনকে আবার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছে।
আজ বিকেল ৪টায় মাইনরিটি জনতা পার্টি, বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাপ ও বিকাল ৫টায় সাম্যবাদী দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মাইনোরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মণ্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী এবং বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজ নিজ দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
মাইনোরিটি জনতা পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দিলীপ কুমার দাস, মোহাম্মদ আবদুল হাই, কমলেশ কুমার দাস, নিরদ বরণ মজুমদার, অশোক কুমার সরকার, ভবতোষ মুখার্জী সুবীর, শন্তু নাথ দাস, পল্লব চ্যাটার্জী, উজ্জ্বল চন্দ্র দাস, শেখর চন্দ্র সরকার, সুমন কুমার সরকার, কেয়া সেন ও মিঠুর ভট্টচার্য।
বাংলাদেশ ন্যাপের প্রতিনিধিরা হলেন, পরেশ চন্দ্র সরকার, আব্দুল বারিক, নুরুজ্জামান, মেহেদি হাসান এবং ওমর ফারুক।
সাম্যবাদী দলের অন্য সদস্যরা হলেন, সুরাইফুল ইসলাম মাহফুজ, সাইফ উদ্দিন মাহমুদ, এরশাদ আলী, মেহেবুব মিয়া, আবু তাহের, শামসুল হক, আব্দুল গনি খান, সুমন হাওলাদার ও নুরুদ্দিন ঢালী।
বিএনপির মহাসচিবের সাথে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ